-->

শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২

সূরা নাস

 

সূরা নাস


আন-নাস
الناس
Sura114.pdf
শ্রেণীমাদানী সূরা
নামের অর্থমানবজাতি
অন্য নামমানুষ
পরিসংখ্যান
সূরার ক্রম১১৪
আয়াতের সংখ্যা
পারার ক্রম৩০ পারা
রুকুর সংখ্যা
সিজদাহ্‌র সংখ্যানেই
শব্দের সংখ্যা২০
অক্ষরের সংখ্যা৮০
← পূর্ববর্তী সূরাসূরা ফালাক
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ

সূরা আন-নাস (আরবিسورة الناس‎‎; মানবজাতিমুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১৪ তম এবং সর্বশেষ সূরা; এর আয়াত, অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৬ এবং রূকু, তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১। সূরা আন-নাস মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে; যদিও কোন কোন বর্ণনায় একে মক্কায় অবতীর্ণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[১] এর ছয় আয়াতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য সংক্ষেপে আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করা হয়। এই সূরাটি এবং এর পূর্ববর্তী সূরা আল-ফালাককে একত্রে মু'আওবিযাতাইন (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু'টি সূরা) নামে উল্লেখ করা হয়। অসুস্থ অবস্থায় বা ঘুমের আগে এই সূরাটি পড়া একটি ঐতিহ্যগত সুন্নত[২]

নামকরণ[সম্পাদনা]

সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস আলাদা আলাদা সূরা হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এত গভীর ও উভয়ের বিষয়বস্তু পরস্পরের সাথে এত বেশি নিকট সম্পর্কিত যে এদেরকে একত্রে “মু’আওবিযাতাইন” (আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে ডাকা হয়; আর এই সূরা দু’টি নাযিলও হয়েছে একই সাথে একই ঘটনার পরি-প্রেক্ষিতে।[৩][৪][৫]

শানে নুযূল[সম্পাদনা]

সূরা ফালাক ও পরবর্তী সূরা আন নাস একই সাথে একই ঘটনায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহু্দী রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)- এর উপর জাদু করেছিল। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক ইহু্দী জাদু করেছে এবং যে জিনিসে জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে। রসূলুল্লাহ্‌ লোক পাঠিয়ে সেই জিনিস কূপ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। তাতে কয়েকটি গিরু ছিল। তিনি এই সূরা দুটি পড়ে ফুক দেওয়ায় গিরুগুলো সাথে সাথে খুলে যায় এবং তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে শয্যা ত্যাগ করেন।[৬]

হযরত আয়েশা থেকে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ্‌ - এর উপর জাদু করলে তার প্রভাবে তিনি মাঝে মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়তেন এবং যে কাজটি করেননি, তাও করেছেন বলে অনুভব করতেন। একদিন তিনি হযরত আয়েশা -কে বললেনঃ আমার রোগটা কি, আল্লাহ্ তা'আলা তা আমাকে বলে দিয়েছেন। (স্বপ্নে) দুব্যক্তি আমার কাছে আসল এবং একজন শিয়রের কাছে ও অন্যজন পায়ের কাছে বসে গেল। শিয়রের কাছে উপবিষ্ট ব্যক্তি অন্য জনকে বলল, তাঁর অসুখটা কি? অন্যজন বললঃ ইনি জাদুগ্রস্ত। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলঃ কে জাদু করেছে? উত্তর হল, ইহুদীদের মিত্র মুনাফিক লবীদ ইবনে আ'সাম জাদু করেছে। আবার প্রশ্ন হলঃ কি বস্তুতে জাদু করেছে? উত্তর হল, একটি চিরুনীতে। আবার প্রশ্ন হল, চিরুনীটি কোথায়? উত্তর হল, খেজুর ফলের আবরণীতে 'বির যরোয়ান' কূপে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ্‌ তিনি কূপে গেলেন এবং বললেনঃ স্বপ্নে আমাকে এই কূপই দেখানো হয়েছে। অতঃপর চিরুনীটি সেখান থেকে বের করে আনলেন।[৭]

আয়াতসমূহ ও অর্থ[সম্পাদনা]

بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ۝‎
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে।
  1. قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلنَّاسِ ۝
    ক্বুল আউযু বিরাব্বিন নাস।
    বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের পালনকর্তার
  2. مَلِكِ ٱلنَّاسِ ۝
    মালিকিন্নাস।
    মানুষের অধিপতির।
  3. إِلَـٰهِ ٱلنَّاسِ ۝
    ইলাহিন্নাস।
    মানুষের মা'বুদের।
  4. مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ۝
    মিন শাররীল ওয়াস ওয়াসিল খান্নাস।
    তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্মগোপন করে।
  5. الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ۝
    আল্লাযি ইউওয়াস ইসু ফী সুদুরিন্নাস।
    যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে।
  6. مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ ۝ ‎
    মিনাল জিন্নাতি ওয়ান নাস।
    জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
আরবি ভাষায়উচ্চারণবাংলায় অনুবাদ
বিস্‌মিল্লাহির রাহ্‌মানির রাহীম

قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلنَّاسِ
مَلِكِ ٱلنَّاسِ
إِلَـٰهِ ٱلنَّاسِ
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ

ক্বুল আউযু বিরাব্বিন নাস।
মালিকিন্নাস।
ইলাহিন্নাস।
মিন শাররীল ওয়াস ওয়াসিল খান্নাস।
আল্লাযি ইউওয়াস ইসু ফী সুদুরিন্নাস।
মিনাল জিন্নাতি ওয়ান নাস।

বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের পালনকর্তার।
মানুষের অধিপতির,
মানুষের মা' বুদের,
তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্মগোপন করে,
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে,
জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।

হাদিস[সম্পাদনা]

অন্য হাদীসে তিনি প্রত্যেক নামাযের পর সূরাদ্বয় পাঠ করার আদেশ করেছেন। - (আবু দাউদ, নাসায়ী)

- (মাযহারী)[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1.  মওদুদী, সাইয়েদ আবুল আ'লা (১৯৭২)। তাফহীমুল কুরআন
  2.  ইমাম বুখারী। সহীহ আল-বুখারী। পৃষ্ঠা ৫০১৭ নং হাদীস।
  3.  শাফী', মুহাম্মদ (১৯৯১)। তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন। খাদেমুল-হারামাইন বাদশাহ ফাহদ কোরআন মুদ্রণ প্রকল্প, মদীনা মোনাওয়ারা, সৌদী আরব।
  4.  বায়হাকী, ইমাম (১৯৯০)। দালায়েলে নবুওয়াত
  5.  "সূরার নামকরণ"। www.banglatafheem.com। তাফহীমুল কোরআন, ২০ অক্টোবর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6.  তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন (১১ খন্ডের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা)।
  7.  সহীহ্‌ বোখারী শরীফ।
  8.  মারেফুল কোরআন, পৃষ্ঠা নং ১৪৮৩।
  9.  মারেফুল কোরআন, পৃষ্ঠা নং ১৪৮৪-৮৫

Tags :

bm

WelftionWelfareNewsUpdate

Seo Construction

I like to make cool and creative designs. My design stash is always full of refreshing ideas. Feel free to take a look around my Vcard.

  • WelftionWelfareNewsUpdate
  • February 04
  • 145/7 Welftion Office Road,Welftion City,Muslim kingdom
  • contact@welftion.com
  • +8809638608760

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ওয়েলফশন মানবকল্যাণ সংঘ যা বিশ্বের কল্যাণকামী মানুষের সম্মিলিত সংগঠন।
যার লক্ষ্য কল্যাণকামীদের একত্রিত করা,শিক্ষা অনুরাগী, কল্যাণ অনুরাগী, জ্ঞান অনুরাগী এবং কল্যাণের জন্য একতাবদ্ধ হতে আকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সাথে একতাবদ্ধ হয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করে, সুন্দর সমাজ গড়া। শিক্ষা সচেতনতার প্রচার করা। বিশ্বে শিক্ষা, সততা ও কল্যাণের প্রসার এবং উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানো ওয়েলফশনের প্রধান লক্ষ ।
Welfare,Education,Lead,Friend,Truth,Indagator,Organization,Necessary
WELFTION