ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে স্বাধীন জাতিসত্ত্বার বিকাশের লক্ষ্যে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ব্রিটিশ ভারতে তৎকালীন শাসকদের অন্যায্য সিদ্ধান্তে পূর্ববঙ্গের মানুষের প্রতিবাদের ফসল হচ্ছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ সম্পর্কে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী গ্রন্থে লিখেছেন,
বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। লর্ড লিটন যাকে বলেছিলেন স্প্লেনডিড ইম্পিরিয়াল কমপেনসেশন। পূর্ববঙ্গ শিক্ষাদীক্ষা, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ছিল। বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পর এ অবস্থার খানিকটা পরিবর্তন হয়েছিল, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে।[১০]
১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। এর মাত্র তিন দিন পূর্বে ভাইসরয় এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়ে ছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাব করেন ব্যারিস্টার আর. নাথানের নেতৃত্বে ডি আর কুলচার, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, নওয়াব সিরাজুল ইসলাম, ঢাকার প্রভাবশালী নাগরিক আনন্দচন্দ্র রায়, জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)-এর অধ্যক্ষ ললিত মোহন চট্টোপাধ্যায়, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ডব্লিউ.এ.টি. আচির্বল্ড, ঢাকা মাদ্রাসার (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) তত্ত্বাবধায়ক শামসুল উলামা আবু নসর মুহম্মদ ওয়াহেদ, মোহাম্মদ আলী (আলীগড়), প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ এইচ. এইচ. আর. জেমস, প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক সি.ডব্লিউ. পিক, এবং সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ সতীশচন্দ্র আচার্য। ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় নাথান কমিটির ইতিবাচক রিপোর্ট এবং সে বছরই ডিসেম্বর মাসে সেটি অনুমোদিত হয়। ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশনও ইতিবাচক প্রস্তাব দিলে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভা পাশ করে 'দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০'। লর্ড রোনাল্ডসে ১৯১৭ হতে ১৯২২ সাল পর্যন্ত বাংলার গভর্নর থাকা কালে নবাব সৈয়দ শামসুল হুদা কে বিশ্ববিদ্যালয়ের আজীবন সদস্য ঘোষণা করেন। সৈয়দ শামসুল হুদার সুপারিশে স্যার এ. এফ. রাহমান কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট মনোনীত করা হয়, তিনি ইতঃপূর্বে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যরত ছিলেন।[১১] পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে রফিকুল ইসলামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর গ্রন্থ থেকে জানা যায়, নাথান কমিটি রমনা অঞ্চলে ৪৫০ একর জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। এই জায়গায় তখন ছিল ঢাকা কলেজ, গভর্নমেন্ট হাউস, সেক্রেটারিয়েট ও গভর্নমেন্ট প্রেসসমূহ।
সৃষ্টির শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়ে। এ ছাড়া ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এর ফলে পূর্ব বাংলার মানুষ হতাশা প্রকাশ করে। ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল পেশের আহ্বান জানান। ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এ বিলে সম্মতি দেন। এ আইনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ভিত্তি। এ আইনের বাস্তবায়নের ফলাফল হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। এ ৮৪৭ জনের মধ্যে নারী ছিলেন একজন।[১২]
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মুক্ত হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই। সে সময়ের ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমির উপর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশের পরিত্যক্ত ভবনাদি এবং ঢাকা কলেজের (বর্তমান কার্জন হল) ভবনসমূহের সমন্বয়ে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার এই দিনটি প্রতিবছর "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস" হিসেবে পালন করা হয়।
তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। ঢাকা কলেজ ও জগন্নাথ কলেজের (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ডিগ্রি ক্লাসে অধ্যয়নরত ছাত্রদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। শুধু ছাত্র নয়, শিক্ষক এবং লাইব্রেরির বই ও অন্যান্য উপকরণ দিয়েও এই দুটি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে। এই সহযোগিতা দানের কৃতজ্ঞতা হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি হলের নামকরণ করা হয় ঢাকা হল (বর্তমানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল) ও জগন্নাথ হল।[১৩]
কলা, বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ছিল সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি, ইসলামি অধ্যয়ন, ফার্সি ও উর্দু, দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং আইন।
প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০ জন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগ (ইংরেজি বিভাগ; এমএ-১৯২৩)। যে সব প্রথীতযশা শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন তারা হলেনঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এফ.সি. টার্নার, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, জি.এইচ. ল্যাংলি, হরিদাস ভট্টাচার্য, ডব্লিউ.এ.জেনকিন্স, রমেশচন্দ্র মজুমদার, স্যার এ. এফ. রাহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অস্থিরতা ও ভারত বিভক্তি আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত প্রদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা উজ্জীবিত হয়। নতুন উদ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড শুরু হয়। তৎকালীন পূর্ববাংলার ৫৫ টি কলেজ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। ১৯৪৭-৭১ সময়ের মধ্যে ৫টি নতুন অনুষদ, ১৬টি নতুন বিভাগ ও ৪টি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। এতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রী সহ অনেকে শহীদ হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের সরকার প্রবর্তিত অধ্যাদেশ বাতিলের জন্য ষাটের দশক থেকে শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ উক্ত অধ্যাদেশ বাতিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডার-১৯৭৩ জারি করে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় এই অর্ডার দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।[১৪]
৬০০ একর নগর এলাকার উপর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রাঙ্গণ অবস্থিত। এই এলাকার মধ্যে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, আবাসিক হল ও অন্যান্য অবকাঠামো অবস্থিত। কার্জন হল ও কলা ভবন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক ও অন্যতম প্রতীকী ভবন।[১৫][১৬] কার্জন হলে বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান বিভাগসমূহ, এবং কলা ভবনে কলা বিভাগসমূহের ও সমাজবিজ্ঞানের কয়েকটি বিভাগের পাঠদান ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগসমূহ, ব্যবসায় শিক্ষা ভবন ও এমবিএ ভবনে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগসমূহ, এবং চারুকলা ইনস্টিটিউশনে চারুকলা বিভাগসমূহের পাঠদান ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে অবস্থিত।[১৭] বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মারক হিসেবে রয়েছে একাধিক ভাস্কর্য। কলাভবনের সামনে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম স্মারক ভার্স্কর্য। ৬ ফুট বেদির ওপর নির্মিত ১২ ফুট উচ্চতা, ৮ ফুট প্রস্থ ও ৬ ফুট ব্যাসবিশিষ্ট ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৭৩ সালে এবং উন্মোচন করা হয় ১৯৭৯ সালে।[১৮] ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সড়কদ্বীপে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা। ১৯৮৮ সালের ২৫শে মার্চ এর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয় ও উন্মোচন করা হয়।[১৯] ফুলার রোডে সলিমুল্লাহ হল, জগন্নাথ হল ও বুয়েট সংলগ্ন সড়ক দ্বীপে অবস্থিত স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত বাঙালির ইতিহাসের সমস্ত বীরত্বগাথাকে ধারণ করে নির্মিত ভাস্কর্যটি ১৯৯৯ সালে উন্মোচন করা হয়।[২০] ফুলার রোডের সড়কদ্বীপে উপাচার্যের ভবনের পাশে রয়েছে স্মৃতি চিরন্তন। এর নামফলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৪ জন শহীদের নাম রয়েছে। জগন্নাথ হলে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার শিকার হওয়া ৪ জন শিক্ষক, ৩৬ জন ছাত্র এবং ২১ জন কর্মচারী ও অতিথি স্মরণে নির্মিত হয়েছে গণহত্যা ফলক। কলাভবনের সামনের চত্ত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদদের নামফলক রয়েছে।[২১]
কার্জন হলের সামনে অবস্থিত দোয়েল চত্বর বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েলের একটি স্মারক ভাস্কর্য। এটি বাংলাদেশের জাতীয় বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক, এবং বাঙালি সংস্কৃতির পরিচায়ক।[২২] দোয়েল চত্বরের উত্তর পাশে অবস্থিত তিন নেতার মাজার ঢাকার অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন। এটি স্বাধীনতা-পূর্ব বাংলার তিন রাজনৈতিক নেতা - হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন ও শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হকের সমাধি। তিনটি উঁচু কলাম দ্বারা নির্মিত এ সমাধির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৭৯ সালে এবং সমাপ্ত হয় ১৯৮৫ সালে।[২৩] তিন নেতা মাজারের পাশেই অবস্থিত ঢাকা গেইট বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি ঐতিহাসিক মোঘল স্থাপনা।[২৪]
ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত সন্ত্রাস বিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি প্রধান ভাস্কর্য। সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা মঈন হোসেন রাজুর স্মরণে এবং সন্ত্রাসবিরোধী চেতনা ধরে রাখার প্রত্যয়ে ১৯৯৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ভাস্কর্যটি উন্মোচন করা হয়।[২৫] ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের চত্বরে রয়েছে শান্তির পায়রা ভাস্কর্য। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত অন্যান্য ভাস্কর্যসমূহ হল স্বামী বিবেকানন্দ ভাস্কর্য, ঘৃণাস্তম্ভ, মধুদার ভাস্কর্য, সপ্তশহীদ স্মৃতিস্তম্ভ, বৌদ্ধ ভাস্কর্য ও শহীদ ডা. মিলন ভাস্কর্য।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবৎ মোট ২৮ জন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও ২৮ তম উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। তিনি প্রথমে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করলেও বর্তমানে পূর্ণকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[২৬]
- শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট: দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য যোগ্য শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষাবিজ্ঞানী গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ইন্সটিটিউটটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ইন্সটিটিউট হিসেবে ইউএসএইড-এর অর্থায়নে কলোরাডো স্টেট কলেজের (বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব নর্দার্ন কলোরাডো) টেকনিকাল সহায়তায় ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন কোর্সের মধ্যে রয়েছে চার বছরের বি.এড (সম্মান), এক বছরের এম. এড (নিয়মিত), দুই বছরের এম. এড সান্ধ্যকালীন কোর্স, এম. ফিল. ও পিএইচ.ডি.।
- পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট: ইস্টিটিউটটি সাধারণত আই. এস. আর. টি নামে পরিচিত। ১৯৬৪ সালে এই ইস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরিসংখ্যানবিদ ডঃ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন এই ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, বর্তমানে এর পরিচালক হলেন মোহাম্মদ সোয়াইব। এই ইন্সটিটিউটে ফলিত পরিসংখ্যান বিষয়ে চার বছর মেয়াদি বি.এস(সম্মান) ও এক বছর মেয়াদি এম. এস কোর্সে পাঠদান করা হয়।
- ব্যবসায় প্রশাসন ইন্সটিটিউট
- পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট
- সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট
- আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট
- তথ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট
- লেদার প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউ
- স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট: গত তিন দশক ধরে স্বাস্থ্য অর্থনীতিতে অর্থনীতির একটি প্রধান শাখা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে যা উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশের শিক্ষাবিদদের স্বাস্থ্যের নির্ধারকদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং আমরা কীভাবে প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করি এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি (আইএইচই) ইনস্টিটিউট, ১৯৯৮ সালে স্বাস্থ্য অর্থনীতির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখে, যা দক্ষিণ-এশিয়াতে একমাত্র স্বাস্থ্য অর্থনীতি শিক্ষাদান ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। IHE শৃঙ্খলা সব অঞ্চলে কাজ করে, পদ্ধতিগত চিন্তাধারা উপর একটি বিশেষ জোর দেওয়া এবং সংক্ষিপ্ত কোর্স/প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন একাডেমিক ডিগ্রী প্রোগ্রাম প্রস্তাব মাধ্যমে উচ্চ নীতি প্রভাব। এটি তার মানের শিক্ষার জন্য এবং স্বাস্থ্যের পরিমাপের পরিমাপ, কর্মক্ষমতা পরিমাপ এবং উত্পাদনশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা অর্থায়ন, বিকল্প স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির অর্থনৈতিক মূল্যায়ন এবং চিকিৎসা পদ্ধতি, রোগব্যাধি পরিমাপের পরিমাপ, এবং অর্থনীতির পদ্ধতিতে কাজ করার জন্যও পরিচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত স্নাতক পর্যায়ের ৭টি কলেজ:[২৭]
- ঢাকা কলেজ
- ইডেন কলেজ
- কবি নজরুল সরকারি কলেজ
- সরকারি তিতুমীর কলেজ
- সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ
- বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ
- সরকারি বাঙলা কলেজ
বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীকে কোনো না কোনো হলের সাথে আবাসিক/অনাবাসিক ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে যুক্ত থাকতে হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য ১৪ টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৫ টি আবাসিক হল রয়েছে। এছাড়া চারুকলা অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইন্সটিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে আলাদা হোস্টেল এবং বিদেশী ছাত্রদের জন্য আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাস।
স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। বিজ্ঞান অনুষদের জন্য 'ক' ইউনিট, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের জন্য 'খ' ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের জন্য 'গ' ইউনিট, বিভাগ পরিবর্তনের জন্য 'ঘ' ইউনিট, এবং চারুকলা অনুষদের জন্য 'চ' ইউনিটে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। একজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ক ইউনিটের জন্য মোট জিপিএ ৮.০০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.৫০), খ ইউনিটের জন্য মোট জিপিএ ৭.৫০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০০), এবং গ ইউনিটের জন্য মোট জিপিএ ৭.৫০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০০) থাকতে হবে। ঘ ইউনিটের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শাখার মোট জিপিএ মোট জিপিএ ৮.০০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০০), মানবিক ও বাণিজ্য শাখার ক্ষেত্রে মোট জিপিএ ৭.০০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০০) থাকতে হবে এবং চ ইউনিটের জন্য মোট জিপিএ ন্যূনতম ৭.০০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০০) থাকতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে আসন সংখ্যা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষার ফল ও পছন্দ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচন করতে পারে।[২৮]
অধিকাংশ বিভাগেই শিক্ষাবর্ষ দুটি সেমিস্টারে বিভক্ত। একটি সাধারণত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এবং অপরটি জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিটি সেমিস্টারে দুটি মধ্যবর্তী পরীক্ষা ও একটি চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে, বাকি বিভাগগুলোতে একটি বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেসব বিভাগে বছরের বিভিন্ন সময়ে টিউটোরিয়াল নেওয়া হয়। স্নাতক পর্যায়ে চার বছর মেয়াদী এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এক বছর মেয়াদী শিক্ষাদান করা হয়।
বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোতে বিভাগ-ওয়ারী গবেষণাগার কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকে। শিক্ষার্থীদের প্রতি সেমিস্টারে বা শিক্ষাবর্ষে এক বা একাধিক অ্যাসাইনমেন্ট করতে হয়। অধ্যাপকবৃন্দ তাদের পাঠদানের অংশ থেকে নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীদের এই অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান করে থাকেন। এছাড়া শেষ বর্ষে শিক্ষার্থীদের কোন একজন তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষকের অধীনে একটি সন্দর্ভ লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উন্নতির জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। স্নাতক পর্যায়ে সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপ্তকে কালিনারায়ণ বৃত্তি প্রদান করা হয়। ভাওয়ালের রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় তার পিতা কালিনারায়ণের স্মরণার্থে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য এই বৃত্তি চালু করেন। পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বৃত্তির তহবিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।[৩১] অনুষদ ভিত্তিক বিভাগ ওয়ারি স্নাতক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সরকারি মেধা বৃত্তি ও সরকারি সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়।[৩২] এছাড়া স্নাতক পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের দেশের উল্লেখযোগ্য শিক্ষাবিদ ও ব্যক্তিদের স্মরণার্থে প্রদত্ত বিভিন্ন বৃত্তি প্রদান করা হয়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নুজহাত জাহাঙ্গীর মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি,[৩৩] মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শফি ট্রাস্ট ফান্ড ও আমেনা-লতিফ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি,[৩৪] রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য অধ্যাপক আবদুল মুকতাদির স্মারক বৃত্তি।[৩৫]
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি প্রদান করে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন স্নাতক অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করে। অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিয়ে আটটি বোর্ড বৃত্তি গ্রহীতাদের নির্বাচন করে।[৩৬] ২০২১ সাল থেকে জাপানের সুমিতমো কর্পোরেশন এশিয়া এন্ড ওসিনিয়া প্রাইভেট লি. কর্তৃপক্ষ স্নাতক পর্যায়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য চার বছর মেয়াদী বৃত্তি চালু করে।[৩৭][৩৮] ফার গ্রুপ এবং রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পার ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের ২৫ ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদানের জন্য অনুদান প্রদান করে।[৩৯]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার আঠারো হাজার বই[৪০] নিয়ে যাত্রা শুরু করে। গ্রন্থাগারে বর্তমানে সাত লক্ষাধিক বই রয়েছে।[৪০]
১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ব্রিটিশ আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম নিয়মিত সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। এরপর ১৯২৪ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই (সর্বমোট ২৪ বার) সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ আমলে শেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালের ২১ নভেম্বর। পাকিস্তান আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৮ সালের ২৪ মার্চ। এরপর ১৯৭০ সাল পর্যন্ত আরও ১৫ বার সমাবর্তন হয়। পাকিস্তান আমলে সর্বশেষ সমাবর্তন হয় ১৯৭০ সালের ৮ মার্চ; সেটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম সমাবর্তন। স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো (৪০তম) সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রপতি হিসেবে সমাবর্তন উদ্বোধন করার কথা ছিল; কিন্তু তার আগেই ভোররাতে ঘটে যায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড, ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডি। এরপর ৪০তম সমাবর্তন হয় ১৯৯৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর। এরপর ২০০১ সালে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। তারপর থেকে নিয়মিত ভাবেই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সর্বশেষ ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী শিক্ষায়তনিক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাদের মধ্যে একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ীসহ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, দার্শনিক, ধর্মীয় ব্যক্তি, ক্রীড়াবিদসহ নানা পেশায় জড়িত ব্যক্তি রয়েছেন।
বাংলাদেশের ১৩ জন রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। তারা হলেন বাংলাদেশের জাতির জনক ও প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদউল্লাহ, শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর অঘোষিতভাবে রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আ ফ ম আহসানউদ্দিন চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, দুইবার রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপালনকারী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, আবদুর রহমান বিশ্বাস, জমির উদ্দিন সরকার, ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, ও জিল্লুর রহমান। এছাড়া আবু সাঈদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।
বাংলাদেশের ৭ জন প্রধানমন্ত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। তারা হলেন তাজউদ্দীন আহমদ, শেখ মুজিবুর রহমান, মশিউর রহমান, আতাউর রহমান খান, মওদুদ আহমেদ, কাজী জাফর আহমেদ, এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী জামাল উদ্দিন আহমেদ এখানে পড়াশোনা করেছেন।[৪৯] এছাড়া শতাধিক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকারী এ এফ এম ইউসুফ হায়দার ১৯৯৪ ও ২০১৩ সালে [৫০] এবং শাহিদা রফিক ২০০১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৫১] আব্দুল মতিন চৌধুরী,[৫২] এ কে এম সিদ্দিক,[৫৩] গোলাম মোহাম্মদ ভূঁঞা[৫৪] বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী ও নোবেল কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া পদার্থবিজ্ঞানী অজয় রায়, আহমেদ শফি, ইমদাদুল হক খান,[৫৫][৫৬] এ এম হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা এম ইন্নাস আলী, এম এ ওয়াজেদ মিয়া, এম শমশের আলী, কামরুল হায়দার,[৫৭] খন্দকার আব্দুল মুত্তালিব,[৫৮] খন্দকার সিদ্দিক-ই-রাব্বানী, ফজলে বারী মালিক, ড. মুহাম্মদ ইব্রাহিম, মুহম্মদ মুনিরুল ইসলাম,[৫৯][৬০] মোহাম্মদ আতাউল করিম,[৬১] সত্যেন্দ্রনাথ বসু, ও সুলতানা নুরুন নাহার এবং ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী শ্রীনিবাস কৃষ্ণণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
রসায়নবিজ্ঞানী ফজলুল হালিম চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ছিলেন। এছাড়া রসায়নবিজ্ঞানী আব্দুস সাত্তার খান, আবুল হুসসাম, ও আল-নকীব চৌধুরী, উদ্ভিদবিজ্ঞানী এ কে এম নুরুল ইসলাম, প্রাণিবিজ্ঞানী কাজী ফজলুর রহিম, কলেরার জীবাণু ভিব্রিও কলেরির অগ্রগণ্য গবেষক শাহ মোহাম্মদ ফারুক, জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী আনোয়ারুর রহমান খান ও আব্দুস সাত্তার খান, মৃত্তিকা বিজ্ঞানী আব্দুল করিম এবং বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক আলী আজগর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। এছাড়া পরিসংখ্যানবিদ এম সি চক্রবর্তী, কাজী মোতাহার হোসেন, ও খোন্দকার মনোয়ার হোসেন; গণিতবিদ ভূপতিমোহন সেন; পুরকৌশলী ও স্থপতি ফজলুর রহমান খান এবং জিনতত্ত্ববিদ তাসিন আলম ভূইয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[৬২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জড়িত সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ হলেন অর্থনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিত, এ. বি. মির্জ্জা মোঃ আজিজুল ইসলাম, এম হাফিজ উদ্দিন খান, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ওয়াহিদুল হক, কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ও রেহমান সোবহান; অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ শাহ এ এম এস কিবরিয়া;[৬৩] কূটনীতিবিদ আবিদা ইসলাম, আবুল আহসান, এনায়েত করিম, এম.এম রেজাউল করিম ও মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস, ইতিহাসবিদ আবদুল করিম, আবু মোহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ, আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন ও রমেশচন্দ্র মজুমদার; ভাষাবিদ মুহম্মদ আবদুল হাই, মুহম্মদ এনামুল হক, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিশারদ আনিসুজ্জামান ও মহামোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
এছাড়া দার্শনিক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, ও সরদার ফজলুল করিম; রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আবদুর রাজ্জাক, আলী রীয়াজ, ও এমাজউদ্দিন আহমদ, এবং সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেন ও এ কে নাজমুল করিম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত সাহিত্যিকদের মধ্যে রয়েছেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আনোয়ার পাশা, আবুবকর সিদ্দিক, আবুল ফজল, আলাউদ্দিন আল আজাদ, আসকার ইবনে শাইখ, আসহাব উদ্দীন আহমদ, আহমদ ছফা, আহমদ শরীফ, আহমাদ মোস্তফা কামাল, ওমর আলী, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, নুরুল মোমেন, পূরবী বসু, বুদ্ধদেব বসু, মুনীর চৌধুরী, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, রাশিদ আসকারী, শহীদুল জহির, শহীদুল্লা কায়সার, শামসুর রাহমান, শাহীন আখতার, সেলিম আল দীন, হুমায়ূন আজাদ, হুমায়ূন আহমেদ, এবং হুমায়ুন কাদির।
অভিনয়শিল্পী আলী যাকের, ইলিয়াস কাঞ্চন, উজ্জ্বল, খান আতাউর রহমান, খালেদ খান, চঞ্চল চৌধুরী, ডলি আনোয়ার, ডলি জহুর, ফেরদৌস আহমেদ, ফেরদৌসী মজুমদার, মাসুম পারভেজ রুবেল, সারা যাকের, সুবর্ণা মুস্তাফা, সোহেল রানা, বাংলাদেশী ব্রিটিশ কৌতুক অভিনেতা দীনু শফিক, এবং পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, আবু শাহেদ ইমন, আলমগীর কবির, ইবনে মিজান, জহির রায়হান, জাকির হোসেন রাজু, তারেক মাসুদ, নারগিস আক্তার, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মোরশেদুল ইসলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন।
সঙ্গীতশিল্পী আনোয়ার উদ্দিন খান, আঞ্জুমান আরা বেগম, জাহেদুর রহিম, নাশিদ কামাল, ফৌজিয়া ইয়াসমিন, রথীন্দ্রনাথ রায়, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, লায়লা আর্জুমান্দ বানু, ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান ও সাবিনা ইয়াসমিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, পটুয়া কামরুল হাসান, চিত্রশিল্পী আমিনুল ইসলাম, মনসুর উল করিম, মোবিনুল আজিম, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ও হাশেম খান; ভাস্কর নিতুন কুন্ডু, সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, ও হামিদুজ্জামান খান; এবং কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
বিচারপতি ও আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি এ. বি. এম. খায়রুল হক, এ. টি. এম. আফজাল; উচ্চ আদালতের বিচারক আমির হোসেন, আশীষ রঞ্জন দাশ, কাশেফা হুসাইন, নাইমা হায়দার, ফারাহ মাহবুব; সুপ্রিম আদালতের আইনজীবী আব্দুর রব চৌধুরী, এবিএম নুরুল ইসলাম।
ধর্ম-বিশারদ ও পণ্ডিতদের মধ্যে আসাদুল্লাহ আল গালিব , আব্দুল মালেক, আহমদ আবদুল কাদের, আজিজুল হক, রাবি উপাচার্য মুহাম্মদ আবদুল বারী, ইবি উপাচার্য মুহাম্মাদ মুস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল হালিম বুখারী।[৬৪]
শেখ কামাল, আমিনুল হক মনি, আথার আলী খান, ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ, ও শাহরিয়ার নাফীস; অ্যাথলেট কাজী আবদুল আলীম, এ কে এম মিরাজ উদ্দিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
"University of Dhaka - About University"। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২১।
"98th Annual Report 2018-2019, University of Dhaka"। www.du.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১।
গৌরবোজ্জ্বল অতীত নিয়ে শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম আলো, ১ জুলাই ২০২১
মিয়া, সাজাহান। "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়"। ইসলাম, সিরাজুল। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২১।
ড. খুরশিদ আলম (২২ জুলাই ২০১৫)। "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন সম্ভব?"। দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯।
"Dhaka University Library"। ৮ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৩।
"Academy Gold Medal Award"। bas.org.bd। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১২।
munir। "BAS Gold Medal Award Ceremony 2011"। bas.org.bd। ২৯ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১২।
"TIME Magazine -- Asia Edition -- March 10, 2013 - Vol. 183, No. 9"। এশিয়া উইক। ২৮ জানুয়ারি ২০০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
"- প্রথম আলো"। prothom-alo.com। ২১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৪।
"মুসলিম হেরিটেজ অব বেঙ্গল [বাংলার মুসলিম ঐতিহ্য]", লিখেছেন মুহাম্মদ মোজলাম খান-কুবে পাবলিশিং লিমিটেড, যুক্তরাজ্য আইএসবিএন ৯৭৮-১-৮৪৭৭৪-০৫৯-৫
আক্তার, সাইয়েদা (২০২১-০৬-২৭)। "একজন ছাত্রী নিয়ে শুরু করা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীশিক্ষায় যে ভূমিকা"। বিবিসি নিউজ বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৭।
ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "জগন্নাথ কলেজ"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার, জানুয়ারি ২০০৫-জুন ২০০৬, পৃষ্ঠা ১৭-১৮
"ঐতিহ্যের প্রতীক কার্জন হল"। দৈনিক সংগ্রাম। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৬।
"ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : ঐতিহ্যবাহী কার্জন হল"। আমার দেশ। ১৮ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৩।
ইসলাম, সৈয়দ মঞ্জুরুল (১৯৯৪)। একুশে উপর প্রবন্ধ: ভাষা আন্দোলন ১৯৫২। ঢাকা, বাংলা একাডেমি। আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-২৯৬৮-৩।
"অপরাজেয় বাংলা :মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য প্রতীক"। দৈনিক ইত্তেফাক। ৭ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
খান, মীম নোশিন নাওয়াল (১৩ মার্চ ২০১৪)। "স্বোপার্জিত স্বাধীনতা"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
"দেশের সবেচেয়ে বড় ভাস্কর্য 'স্বাধীনতা সংগ্রাম'"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৭ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
"ঢাবি ক্যাম্পাসে স্বাধীনতার স্মারক"। দৈনিক প্রথম আলো। ২৭ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
"দোয়েল চত্বরের তিলোত্তমায় মুগ্ধ পথচারী"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৭ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
ইসলাম, শাহিদুল (১২ মার্চ ২০২০)। "কারা ঘুমিয়ে আছেন 'তিন নেতার মাজারে'"। রাইজিংবিডি.কম। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
হাসান, শরিফুল (২০ মে ২০১৬)। "সেই ঢাকা গেট, এই ঢাকা গেট"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
মিয়া, সজীব (১৬ মার্চ ২০১৯)। "যেভাবে শহীদ হলেন রাজু"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
দেখুন http://www.ittefaq.com.bd/education/2017/09/06/126393
"ঢাবির অধিভুক্ত হলো রাজধানীর ৭ সরকারি কলেজ" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৮।
"ঢাবিতে ভর্তির আবেদনপত্র জমা শুরু, পরীক্ষা ২১ মে থেকে"। বাংলা ট্রিবিউন। ৮ মার্চ ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
"ঢাবি'র পরীক্ষায় আবেদন বেড়েছে ৪ হাজার, প্রতি আসনে ৩৮ জন"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
"ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা: সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা 'চ' ইউনিটে, কম 'খ' ইউনিটে"। দৈনিক প্রথম আলো। ৬ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
আনসার আলী, মুহম্মদ। "কালিনারায়ণ বৃত্তি"। ইসলাম, সিরাজুল। বাংলাপিডিয়া। ঢাকা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
"ঢাবিতে স্নাতকের ফলে বৃত্তি পেলেন যারা - দৈনিকশিক্ষা"। দৈনিক শিক্ষা। ১৯ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
"ঢাবির তিন শিক্ষার্থী পেলেন নুজহাত জাহাঙ্গীর মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বৃত্তি"। এনটিভি অনলাইন। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
"মোহাম্মদ শফি ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি পেলেন দুই শিক্ষার্থী"। বাংলা ট্রিবিউন। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
"অধ্যাপক আবদুল মুকতাদির স্মারক বৃত্তি পেলেন ঢাবির ৩ শিক্ষার্থী"। একুশে টেলিভিশন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
"ঢাবির ৭০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি"। দৈনিক সমকাল। ২৫ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
"জাপানের শিক্ষা বৃত্তি পাবেন ঢাবির ১০ শিক্ষার্থী"। দৈনিক প্রথম আলো। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
"জাপানের শিক্ষা বৃত্তি পাবে ঢাবির ১০ শিক্ষার্থী"। Bangladesh Journal Online। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
"ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিতে অনুদান দিল দুটি প্রতিষ্ঠান"। দৈনিক ভোরের কাগজ। ১৫ জুলাই ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
"সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
রনি, মাহবুব (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "স্মৃতির কঙ্কাল ডাকসু"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২১।
"RECIPIENTS OF HONOURARY DOCTORATES (HONORIS CAUSA)"। ৪ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৫।
"প্রকাশ্যে মওদুদকে পেলে যে কারণে ধাওয়া করবে বিএনপি - Hello Today - Page 28060"। hello-today.com। ১৩ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৩।
"বান কি মুনকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেবে ঢাবি"। ১০ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৩।
"সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৩।
"DU 45th Convocation on January 29"। dhakamirror.com।
"45th convocation of Dhaka University"। Demotix। ৬ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১২।
"সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১২।
"Former deputy prime minister Jamal Uddin Ahmad dies"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৫।
"Resume AFM Y Haider" (PDF)। ৬ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৮।
"CV Shahida Rafique"। owsd.net। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
"চৌধুরী, আবদুল মতিন"। বাংলাপিডিয়া। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
"Professor A.K.M. Siddiq"। ১২ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১২।
"গবেষণা অন্তপ্রাণ এক শিক্ষক"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
"Biography: Dr. Imdadul Haque"। ISKKC। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২২।
"সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৮।
এ, অবিন ক্রিস্টোফার। "Quamrul Haider"। ফোর্ডহ্যাম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
"Khandker Muttalib c.v."। www.phys.ufl.edu। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
"Munir M. Islam, University of Connecticut, Department of Physics"। www.phys.uconn.edu। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
"Professor Muhammad Munir Islam"। ১২ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
"MOHAMMAD KARIM, ODU RESEARCH VP, IS ELECTED IEEE FELLOW"। ওল্ড ডমিনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
"প্রফেসর ইউনূসের ঝুলিতে নোবেলসহ ১৪৫ পুরস্কার"। দৈনিক মানবজমিন। ১৫ ডিসেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২২।
"Kibria's life sketch"। দ্য ডেইলি স্টার। ২৮ জানুয়ারি ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৫।