বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
এই নিবন্ধে ব্যবহৃত কিছু তথ্যসূত্র নির্ভরযোগ্য নয়। (নভেম্বর ২০১৭) |
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (আরবি: 'بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ) একটি আরবি বাক্যবন্ধ যার অর্থ "পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে"। সংক্ষেপে বলা হয় বিসমিল্লাহ্। পবিত্র কুরআন শরীফের ১১৪টি সূরার মধ্যে সূরা তওবা ব্যতিরেকে অন্য বাকি ১১৩টি সূরা শুরু করা হয়েছে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" দিয়ে। এছাড়া হাদিস থেকে জানা যায়, ইসলামের নবি মুহাম্মাদ প্রতিটি কাজ শুরু করার আগে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" বলতেন।[১] অনেক কাজে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" বলা বা লেখার নির্দেশনা রয়েছে। বিধানগত বিচারে এটা মাসনূন বা মুস্তাহাব হলেও এর তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর।[২]
মূলবাক্য[সম্পাদনা]
তাৎপর্য[সম্পাদনা]
তাফসির-ই-ইবনে আবি হাতিমে রয়েছে, ‘উসমান বিন আফফান মুহাম্মাদকে ‘বিসমিল্লাহ’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। তখন তিনি উত্তরে বলেছিলেন,
ইবনে মরদুওয়াইর তাফসিরে রয়েছে,মুহাম্মাদ বলেছেন,
জাবির বর্ণনা করেন,
গুরুত্ব[সম্পাদনা]
আয়িশা বলেন,
ইসলামে বিসমিল্লাহর গুরুত্ব ও বরকত অপরিসীম। বিসমিল্লাহ না বলার কারণে একটি হালাল খাদ্য হারাম হয়ে যেতে পারে, আবার বিসমিল্লাহ না বলার কারণে নিয়ত শুভ থাকলেও অনেক কর্মে বরকত না হওয়ায অনেকসময় ব্যাক্তির অসন্মানিত হতে হয়। কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হলে সে কাজে আল্লাহর রহমত ও বরকত অবতারিত হতে থাকে। শয়তান সেখানে অবস্থান নিতে পারে না। মুহাম্মদের (সা.) কাছে প্রথম ওহী অবতরণের সময়ও এই বাক্য পড়ানো হয়েছিল।[৩]
শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচার দোয়া[সম্পাদনা]
মুসলিমরা বিসমিল্লাহ দিয়েই সব কাজ শুরু করতে হয়। তারা মনে করে, কাজ ও কথার শুরুতেই বিসমিল্লাহ বলা মুস্তাহাব। হাদিসে এসেছে,
বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করলে আল্লাহ তাকে করুণা করেন, হেফাজতে রাখেন ও কাজে বরকত দান করেন। আনাস বলেন, {{রাসূলুল্লাহ বলেছেন, "যদি কোনো ব্যক্তি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলে, ‘বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ অর্থাৎ ‘আল্লাহের নামে বের হলাম, আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম, আমার কোনো উপায় নেই, কোন ক্ষমতা নেই আল্লাহ ছাড়া’ তখন তাকে বলা হয় তুমি পথ পেলে, উপায় পেলে ও সহায়তা পেলে। তারপর শয়তান তার থেকে দূর হয়ে যায়। তখন আর এক শয়তান এ শয়তানকে বলে, তুমি লোকটিকে কেমন পেলে? তখন সে বলে, তাকে হেদায়েত দেয়া হয়েছে, পথ দেয়া হয়েছে ও রা করা হয়েছে’ (মিশকাত হা-২৪৪৩)[৩]"}}
হুজায়ফা বলেন,
জাবির বলেন,
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস বলেন,
প্রথম সূরা[সম্পাদনা]
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস বলেন,
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা:) বলেন,
সূচনাবাক্য[সম্পাদনা]
‘বিসমিল্লাহ’ হলো সব কাজের সূচনাবাক্য। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের শুরুতেও বিসমিল্লাহ বলা হয়। বিসমিল্লাহ দিয়েই অধিকাংশ সূরা শুরু করা হয়েছে। মুসলিমরা আল্লাহর নির্দেশিত ও ইসলামি বিধান মতে সমর্থিত কাজ শুরুর প্রাক্কালেই ‘বিসমিল্লাহ’ বলে থাকে। কিন্তু অন্যায় কাজ ও ইসলামবহির্ভূত কর্মের জন্য ‘বিসমিল্লাহ’ বলা আল্লাহদ্রোহিতার অন্তর্ভুক্ত। [৩]
মুহাম্মাদ বলেছেন
ক্যালিগ্রাফিতে বিসমিল্লাহ[সম্পাদনা]
ইসলামিক ক্যালিগ্রাফিতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম প্রচুর লেখা হয়।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ আল কুরআনই একমাত্র যুক্তিগ্রাহ্য ও বিজ্ঞানসম্মত ধর্মগ্রন্থ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে, প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ৮, ২০১০।
- ↑ একটি অন্যায় কাজঃ ‘বিসমিল্লাহ ‘ ও ‘দরূদ’ অশুদ্ধ বা অসম্পূর্ণ বলা ও লেখা, প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট-সেপ্টেম্বর ২০০৯।
- ↑ কখ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ বিসমিল্লাহর তাৎপর্য[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], জি এম মুজিবুর রহমান।[অনির্ভরযোগ্য উৎস]
Tags : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম Share By WELFTION INFO SHARE PLUS
Welftion.blog
Seo Construction
I like to make cool and creative designs. My design stash is always full of refreshing ideas. Feel free to take a look around my Vcard.
- Welftion.blog
- February 04
- 145/7 Welftion Office Road,Welftion City,Muslim kingdom
- contact@welftion.com
- +8809638608760
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ওয়েলফশন মানবকল্যাণ সংঘ যা বিশ্বের কল্যাণকামী মানুষের সম্মিলিত সংগঠন।
যার লক্ষ্য কল্যাণকামীদের একত্রিত করা,শিক্ষা অনুরাগী, কল্যাণ অনুরাগী, জ্ঞান অনুরাগী এবং কল্যাণের জন্য একতাবদ্ধ হতে আকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সাথে একতাবদ্ধ হয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করে, সুন্দর সমাজ গড়া। শিক্ষা সচেতনতার প্রচার করা। বিশ্বে শিক্ষা, সততা ও কল্যাণের প্রসার এবং উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানো ওয়েলফশনের প্রধান লক্ষ ।
Welfare,Education,Lead,Friend,Truth,Indagator,Organization,Necessary
WELFTION