-->

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

‘‘আপনি কি সে ব্যক্তিকে দেখেছেন যে তার প্রবৃত্তিকে নিজের ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে।’’

‘‘আপনি কি সে ব্যক্তিকে দেখেছেন যে তার প্রবৃত্তিকে নিজের ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে।’’

"এসো রবের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জ্ঞান অর্জন করি, সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে মানবতার কল্যাণে কাজ করি,সুন্দর সমাজ গড়ি " ~ #Welftion || #وعلفشن || #ওয়েলফশন  Welftion Love Of Welfare Promote By, #Al_Towfiqi_Family / #আল_তৌফিকী_পরিবার / #عائلة_التوفيقي / eayilat altawfiqi
‘‘আপনি কি সে ব্যক্তিকে দেখেছেন যে তার প্রবৃত্তিকে নিজের ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে।’’


একজন মু’মিনের যাবতীয় আনুগত্য ও অনুসরণ নিঃশর্তভাবে নিবেদিত হবে কেবলমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্যে। রাজনৈতিক বা ধর্মীয় নেতাদের যে আদেশ বা নিষেধ পালন করলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য ও অনুসরণ হবে, কেবল সে ক্ষেত্রেই একজন মুসলিম তাঁদের আনুগত্য ও অনুসরণ করবে। আর যে ক্ষেত্রে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যতা হবে, সে ক্ষেত্রে কোনো কারণবশত বাহ্যত তাঁদের আনুগত্য ও অনুসরণ করলেও খুশী মনে অন্তর দিয়ে তাঁদের আনুগত্য করবে না। আনুগত্যের এ বিধান বর্ণনা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ وَأُوْلِي ٱلۡأَمۡرِ مِنكُمۡۖ فَإِن تَنَٰزَعۡتُمۡ فِي شَيۡءٖ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ ذَٰلِكَ خَيۡرٞ وَأَحۡسَنُ تَأۡوِيلًا ٥٩ ﴾ [النساء: ٥٩]

তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তোমাদের মধ্যকার দায়িত্বপ্রাপ্তদের আনুগত্য কর। অতঃপর কোনো বিষয়ে সে দায়িত্বশীলদের সাথে তোমরা মতবিরোধ করলে সত্যিকারার্থে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান এনে থাকলে বিরোধপূর্ণ সে বিষয়টিকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও, এটা তোমাদের জন্য উত্তম এবং পরিণতির দিক থেকে তা খুবই ভাল।’’[1]

এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কোনো বিষয়ে মতবিরোধ হলে বিনা দলীলে কেউ কারো কোনো কথা মানতে পারবে না; বরং সে ক্ষেত্রে সাধারণ ও ক্ষমতাশীন নির্বিশেষে সকলকেই আল্লাহ্‌ তা‘আলার কিতাব ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহীহ সুন্নাতের দিকে ফিরে আসতে হবে; কেননা, এ দু’টিই হচ্ছে যে কোনো বিবাদ মীমাংসার ফয়সালাদায়ক ও যে কোনো বিধান রচনা করার মূল উৎস। ধর্মীয় বা পার্থিব কোনো ক্ষেত্রেই ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ বা জাতীয় সংসদের দ্বারা গৃহীত কোনো আইন বা সিদ্ধান্তই- তা বাহ্যত যতই কল্যাণকর হোক না কেন- কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত বিধান বা তাতে বর্ণিত মৌলিক নীতিমালার আওতাধীন হওয়ার ছাড়পত্র ব্যতীত বৈধ হতে পারে না। এর কারণ হচ্ছে-মানুষ একমাত্র আল্লাহরই সৃষ্টি, তাই তাদের সার্বিক জীবন পরিচালিত হবে তাঁরই দেওয়া হেদায়াত ও বিধানানুযায়ী। এ হেদায়াত ও বিধানই যে তাদের দুনিয়া-আখেরাতের যাবতীয় সুখ, শান্তি ও কল্যাণের নিয়ামক, সে সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

﴿فَإِمَّا يَأۡتِيَنَّكُم مِّنِّي هُدٗى فَمَن تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ ٣٨ وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَكَذَّبُواْ بِ‍َٔايَٰتِنَآ أُوْلَٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ ٣٩ ﴾ [البقرة: ٣٨، ٣٩]

‘‘অতঃপর যদি তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে কোন হেদায়াত আসে, তাহলে যারা আমার সে হেদায়াত অনুসরণ করবে, তাদের উপর না কোন ভয় আসবে, না তারা চিন্তাগ্রস্ত হবে। আর যারা তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী, সেখানে তারা অনন্তকাল থাকবে।’’[2]

আল্লাহ যে মানুষের সার্বিক জীবন পরিচালনার একক বিধান দাতা, সে সম্পর্কে তিনি বলেন :

﴿إِنِ ٱلۡحُكۡمُ إِلَّا لِلَّهِ أَمَرَ أَلَّا تَعۡبُدُوٓاْ إِلَّآ إِيَّاهُۚ ﴾ [يوسف: ٤٠]

‘‘হুকুম হবে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই, তিনি তোমাদেরকে একমাত্র তাঁরই উপাসনা করতে নির্দেশ করেছেন।’’[3]

এ আয়াতের মর্ম হচ্ছে- তিনি মানুষের ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে কুরআনুল কারীম ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহীহ হাদীসে প্রকাশ্যভাবে বা ইশারা ও ইঈিতে যে সব বিস্তারিত বিধান ও মৌলিক নীতিমালা দিয়েছেন, সাধ্যানুযায়ী তা পালন করার মধ্য দিয়েই জীবনের সার্বিক ক্ষেত্রে তাঁর আনুগত্যের উপাসনার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে তিনি আমাদের নির্দেশ করেছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, আমাদের জীবনকে শাসন করার জন্য কুরআনুল কারীম ও সহীহ হাদীসের দিকে প্রত্যাবর্তন না করে নিজ থেকে কোনো বিধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কোনো বৈধ অধিকার আমাদের নেই। কোনো ক্ষেত্রে কুরআনুল কারীম বা সহীহ হাদীসে সুস্পষ্ট বিধান থাকা সত্ত্বেও বা সে বিষয়ে তাতে বিধান রচনার জন্য কোনো মৌলিক নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও সে সুস্পষ্ট বিধান বা নীতিমালা পরিহার করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যদি জনগণের জন্য নিজ থেকে কোনো বিধান রচনা করেন, তা হলে আল্লাহর দৃষ্টিতে তারা নিজেদের প্রবৃত্তিকেই নিজেদের ইলাহ বানিয়ে থাকবেন। এ জাতীয় লোকদের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

﴿أَفَرَءَيۡتَ مَنِ ٱتَّخَذَ إِلَٰهَهُۥ هَوَىٰهُ﴾ [الجاثية: ٢٣]

‘‘আপনি কি সে ব্যক্তিকে দেখেছেন যে তার প্রবৃত্তিকে নিজের ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে।’’[4]


এ জাতীয় লোকদের ব্যাপারে আল্লাহর বক্তব্য হচ্ছে:

﴿وَمَنۡ أَضَلُّ مِمَّنِ ٱتَّبَعَ هَوَىٰهُ بِغَيۡرِ هُدٗى مِّنَ ٱللَّهِۚ﴾ [القصص: ٥٠]

‘‘আল্লাহর হেদায়াত ব্যতীত যারা নিজেদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তাদের চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে হতে পারে।’’[5]

সাধারণ জনগণ যদি সে ধরনের কোনো বিধান বিনা প্রতিবাদে সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নেন, তা হলে তাদের অবস্থা ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের মতই হবে, যারা তাদের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের এ জাতীয় কর্মকে সন্তুষ্ট চিত্তে গ্রহণ করার ফলে তাদেরকে রব বানিয়ে নিয়েছিল। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ ٱتَّخَذُوٓاْ أَحۡبَارَهُمۡ وَرُهۡبَٰنَهُمۡ أَرۡبَابٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِ﴾ [التوبة: ٣١]

‘‘ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানরা তাদের পাদরী ও ধর্মযাজকদের আল্লাহর বদলে বহু রব বানিয়ে নিয়েছিল।’’[6]

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ‘আদী ইবন হাতিম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। উক্ত হাদীস শ্রবণ করার পর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেন : ‘‘হে রাসূল! আমরাতো তাদেরকে রব বানিয়ে নেই নি? জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : তারা কোনো বস্তু হালাল বা হারাম বলে দিলে তোমরা কি তা গ্রহণ করো না? জবাবে আদী বলেন- হ্যাঁ, তা করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : এটিই হচ্ছে তাদেরকে রব বানানোর শামিল।’’[7]

উপর্যুক্ত আয়াত ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যারা কোনো রাজনৈতিক নেতা বা ধর্মীয় কোনো ইমাম বা কোনো মাযহাবের নিঃশর্ত আনুগত্য ও অন্ধ অনুসরণ করবে, তাঁদের গৃহীত বিধান বা মতামতের ভুল-শুদ্ধ বিচার না করে এর বিপরীতে কুরআনুল কারীম ও সহীহ হাদীস পাওয়া সত্ত্বেও চোখ বন্ধ করে অন্ধভাবে তাঁদের আনুগত্য ও অনুসরণ করবে, আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের দৃষ্টিতে তাদের পরিণতি ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের মতই হবে। বিশেষ করে ধর্মীয় ক্ষেত্রে এ ধরনের অনুসরণ করার ব্যাপারে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (মৃত ১১৭৬ হি.) স্বীয় গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’তে এবং ক্বাযী সানাউল্লাহ পানিপথী (১১৮৩-১২২৫ হি.) তাঁর তাফসীরে মাযহারীতে মুসলিমদের জন্য সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। অন্ধ তাকলীদ হারাম হওয়া প্রসঙ্গে শাহ ওয়ালী উল্লাহ (রহ.) যা বলেছেন, তা সংক্ষেপে নিম্নে বর্ণিত হলো :

‘‘যিনি কোনো একটি বিষয়েও ইজতেহাদ করার মত যোগ্যতা অর্জন করবেন, তার পক্ষে সে বিষয়ে অপরের অন্ধ তাকলীদ করা হারাম। অনুরূপভাবে যার নিকট এ কথা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো একটি আদেশ বা নিষেধ করেছেন এবং সে আদেশ বা নিষেধের ব্যাপারে বর্ণিত অন্যান্য সকল হাদীস অনুসন্ধান করে এবং এর পক্ষে বা বিপক্ষে যারা রয়েছেন, তাদের কথা-বার্তা অনুসন্ধান করে সে ব্যক্তি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সে আদেশ বা নিষেধের কোনো মনসূখ বা রহিতকারী দলীল খুঁজে না পায়, অথবা বিষয়টি যদি এমন হয় যে, অধিকাংশ ইসলামী বিশেষজ্ঞগণ রাসূলের আদেশ বা নিষেধ সম্বলিত কোনো হাদীস গ্রহণ করে থাকেন, অথচ দেখা যায় যিনি তা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিরোধিতা করছেন, তিনি কেবল কোনো ক্বিয়াস (রায়) অথবা ইজতেহাদ বা অনুরূপ কিছুর দ্বারা এর বিরোধিতা করছেন, এমতাবস্থায় সে যদি (তা অনুধাবন করার পরেও নিজের ইমাম বা মাযহাবের মতামত পালন করার জন্য) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সে হাদীসের বিরোধিতা করে, তখন বুঝতে হবে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীসের বিরোধিতার পিছনে তার অন্তরে গোপন নেফাকী বা প্রকাশ্য আহমকী ব্যতীত আর কোনো কারণ নেই।’’[8]

মাওলানা সানাউল্লাহ পানিপথী (১১৮৩-১১২৫ হি.) কুরআনুল কারীমে বর্ণিত :

﴿وَلَا يَتَّخِذَ بَعۡضُنَا بَعۡضًا أَرۡبَابٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِۚ﴾ [ال عمران: ٦٤]

‘‘আমরা যেন পরস্পরকে রব হিসেবে গ্রহণ না করি।’’[9]এ আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেছেন : ‘‘এখান থেকে বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোনো হাদীস যদি কারো নিকট কোনো প্রকার বিরোধ থেকে মুক্ত অবস্থায় সহীহভাবে প্রমাণিত হয় এবং এর কোনো রহিতকারীও তার নিকট প্রমাণিত না হয়, এমতাবস্থায় উদাহরণস্বরূপ ইমাম আবু হানীফা (রহ.) এর কোনো ফতোয়াও যদি এর বিপরীতে হয়, আর চার ইমামের কোনো ইমাম এ হাদীসের উপর ‘আমল করে থাকেন, তা হলে সে ব্যক্তির পক্ষে উক্ত হাদীসের উপর ‘আমল করা ওয়াজিব হয়ে যাবে। (এমতাবস্থায়) কঠিনভাবে তার মাযহাবকে আঁকড়ে ধরে থাকা যেন তাকে সে হাদীসের উপর ‘আমল করা থেকে বিরত না রাখে। কেননা, এমনটি করলে এতে আল্লাহকে ব্যতীত পরস্পরকে অসংখ্য রব বানানোর শামিল হবে।’’[10]

>
[1]. আল-কুরআন, সূরা নিসা : ৫৯।

[2]. আল-কুরআন, সূরা বাক্বারাহ : ৩৮, ৩৯।

[3]. আল-কুরআন, সূরা আন‘আম : ৫৭।

[4]. আল-কুরআন, সূরা জাছিয়াহ : ২৩।

[5]. আল-কুরআন, সূরা ক্বাসাস : ৫০।

[6]. আল-কুরআন, সুরা তাওবাহ : ৩১।

[7]. তিরমিযী, প্রাগুক্ত; কিতাবুত তাফসীর, বাব : নং- ৯।

[8].এ প্রসঙ্গে তিনি যা বলেছেন তা নিম্নরূপ:

إنما يتم (أي تحريم التقليد) فيمن له ضرب من الاجتهاد ولو في مسألة واحدة. و فيمن ظهر عليه ظهورا بينا أن النبي صلى الله عليه وسلم أمر بكذا و نهى عن كذا ، و أنه ليس بمنسوخ ، إما بأن يتتبع الأحاديث و أقوال المخالف و الموافق في المسألة فلا يجد لها نسخا. أو بأن يرى جما غفير من المتبحرين في العلم يذهبون إليه ، ويرى المخالف له لا يحتج إلا بقياس أو استنباط أو نحو ذلك ، فحينئذ لا سبب لمخالفة حديث النبي صلى الله عليه وسلم إلا نفاق خفي أو حمق جلي.

- দেখুন : আদ-দেহলভী , শাহ ওয়ালী উল্লাহ, হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ; (বৈরুত : দ্বারুল মা’রিফাহ, সংস্করণ বিহীন, সন বিহীন), পৃ. ১৫৪-১৫৬।

[9]. আল-কুলআন, সূরা আলে ইমরান : ৬৪।

[10].এ প্রসঙ্গে তিনি যা বলেছেন এর আরবী ভাষান্তর নিম্নরূপ :

ومن ههنا يظهر أنه إذا صح عند أحد حديث مرفوع من النبي صلى الله عليه وسلم سالما من المعارضة ، ولم يظهر له ناسخ ، وكان فتوى أبي حنيفة رحمه الله مثلا خلافه ، وقد ذهب على وفق الحديث أحد من الآئمة الأربعة، يجب عليه اتباع الحديث الثابت ، ولا يمنعه الجمود على مذهبه من ذلك ، لئلا يلزم اتخاذ بعضنا بعضا أربابا من دون الله.

দেখুন : পানিপতী, ক্বাযী সানাউল্লাহ, আত-তাফসীরুল মাজহারী, (দেহলী : এদারাতু এশাআতিল উলূম, সংস্করণ বিহীন, সন বিহীন), ২/৬৩-৬৪।
"এসো রবের (মহান সৃষ্টিকর্তার) সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জ্ঞান অর্জন করি, সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে মানবতার কল্যাণে কাজ করি,সুন্দর সমাজ গড়ি "
~ #Welftion || #وعلفشن || #ওয়েলফশন 
Welftion Love Of Welfare
Promote By,
#Al_Towfiqi_Family / #আল_তৌফিকী_পরিবার / #عائلة_التوفيقي / eayilat altawfiqi

"এসো রবের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জ্ঞান অর্জন করি, সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে মানবতার কল্যাণে কাজ করি,সুন্দর সমাজ গড়ি " ~ #Welftion || #وعلفشن || #ওয়েলফশন  Welftion Love Of Welfare Promote By, #Al_Towfiqi_Family / #আল_তৌফিকী_পরিবার / #عائلة_التوفيقي / eayilat altawfiqi


তারা পরকালের চাইতে  পার্থিব জীবন পছন্দ করে

তারা পরকালের চাইতে পার্থিব জীবন পছন্দ করে

" তিনি ব্যতিত আর সব ধ্বংস হয়ে যাবে। "
" তিনি ব্যতিত আর সব ধ্বংস হয়ে যাবে। "  "এসো মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জ্ঞান অর্জন করি, সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে মানবতার কল্যাণে কাজ করি,সুন্দর সমাজ গড়ি " ~ #Welftion || #وعلفشن || #ওয়েলফশন  Welftion Love Of Welfare Promote By, #Al_Towfiqi_Family / #আল_তৌফিকী_পরিবার / #عائلة_التوفيقي / eayilat altawfiqi
"স্বর্ণের দাস অর্থের দাস ধ্বংস হোক।"

" তিনি ব্যতিত আর সব ধ্বংস হয়ে যাবে। "  "এসো মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জ্ঞান অর্জন করি, সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে মানবতার কল্যাণে কাজ করি,সুন্দর সমাজ গড়ি " ~ #Welftion || #وعلفشن || #ওয়েলফশন  Welftion Love Of Welfare Promote By, #Al_Towfiqi_Family / #আল_তৌফিকী_পরিবার / #عائلة_التوفيقي / eayilat altawfiqi

" তিনি ব্যতিত আর সব ধ্বংস হয়ে যাবে। "  "এসো মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জ্ঞান অর্জন করি, সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে মানবতার কল্যাণে কাজ করি,সুন্দর সমাজ গড়ি " ~ #Welftion || #وعلفشن || #ওয়েলফশন  Welftion Love Of Welfare Promote By, #Al_Towfiqi_Family / #আল_তৌফিকী_পরিবার / #عائلة_التوفيقي / eayilat altawfiqi
" তিনি ব্যতিত আর সব ধ্বংস হয়ে যাবে। "

"এসো মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জ্ঞান অর্জন করি, সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে মানবতার কল্যাণে কাজ করি,সুন্দর সমাজ গড়ি "
~ #Welftion || #وعلفشن || #ওয়েলফশন 
Welftion Love Of Welfare
Promote By,
#Al_Towfiqi_Family / #আল_তৌফিকী_পরিবার / #عائلة_التوفيقي / eayilat altawfiqi




আপনি কি তাকে লক্ষ্য করেছেন যে, আপন প্রকৃতিকে ইলাহী বলে গ্রহণ করেছে..?
" তিনি ব্যতিত আর সব ধ্বংস হয়ে যাবে। "





"এসো মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জ্ঞান অর্জন করি, সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে মানবতার কল্যাণে কাজ করি,সুন্দর সমাজ গড়ি "
~ #Welftion || #وعلفشن || #ওয়েলফশন 
Welftion Love Of Welfare
Promote By,
#Al_Towfiqi_Family / #আল_তৌফিকী_পরিবার / #عائلة_التوفيقي / eayilat altawfiqi

বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

কুরআনে বর্ণিত ৪০ টি রাব্বানা দোয়া:

কুরআনে বর্ণিত ৪০ টি রাব্বানা দোয়া:

কুরআন থেকে ৪০ টি দুআ








কুরআনে বর্ণিত ৪০ টি রাব্বানা দোয়া:

#১
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

'Rabbana taqabbal minna innaka antas Sameeaul Aleem'

Our Lord! Accept (this service) from us: For Thou art the All-Hearing, the All-knowing [2:127]

পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ। (২: ১২৭)


#২

رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَآ إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ

'Rabbana wa-j'alna Muslimayni laka ma min Dhurriyatina 'Ummatan Muslimatan laka wa 'Arina Manasikana wa tub 'alayna 'innaka 'antat-Tawwabu-Raheem'


Our Lord! Make of us Muslims, bowing to Thy (Will), and of our progeny a people Muslim, bowing to Thy (will); and show us our place for the celebration of (due) rites; and turn unto us (in Mercy); for Thou art the Oft-Returning, Most Merciful [2:128]

পরওয়ারদেগার! আমাদের উভয়কে তোমার আজ্ঞাবহ কর এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি অনুগত দল সৃষ্টি কর, আমাদের হজ্বের রীতিনীতি বলে দাও এবং আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী, অতিশয় দয়ালু। (২: ১২৮)


#৩

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
'Rabbana atina fid-dunya hasanatan wa fil 'akhirati hasanatan waqina adhaban-nar'

Our Lord! Grant us good in this world and good in the hereafter, and save us from the chastisement of the fire [2:201]

হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান করো এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান করো এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা করো। (২:২০১)


#৪
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

Rabbana afrigh 'alayna sabran wa thabbit aqdamana wansurna 'alal-qawmil-kafirin

Our Lord! Bestow on us endurance, make our foothold sure, and give us help against the
disbelieving folk [2:250]

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের মনে ধৈর্য্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ-আর আমাদের সাহায্য কর সে কাফের জাতির বিরুদ্ধে। (২: ২৫০)


#৫
رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا

Rabbana la tu'akhidhna in-nasina aw akhta'na

Our Lord! Condemn us not if we forget or fall into error [2:286]

হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। (২: ২৮৬)


#৬
رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا

 Rabbana wala tahmil alayna isran kama hamaltahu 'alal-ladheena min qablina

Our Lord! Lay not on us a burden Like that which Thou didst lay on those before us [2:286]


হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ । (২: ২৮৬)



#৭
رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ


Rabbana wala tuhammilna ma la taqata lana bihi wa'fu anna waghfir lana wairhamna anta mawlana fansurna 'alal-qawmil kafireen

Our Lord! Lay not on us a burden greater than we have strength to bear. Blot out our sins, and grant us forgiveness. Have mercy on us. Thou art our Protector; Help us against those who stand against faith [2:286]

হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর। (২: ২৮৬)


#৮
رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ

Rabbana la tuzigh quloobana ba'da idh hadaytana wa hab lana milladunka rahmah innaka antal Wahhab

Our Lord! (they say), Let not our hearts deviate now after Thou hast guided us, but grant us mercy from Thine own Presence; for Thou art the Grantor of bounties without measure. [3:8]

হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা। (৩: ৮)


#৯
رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لاَّ رَيْبَ فِيهِ إِنَّ اللّهَ لاَ يُخْلِفُ الْمِيعَادَ

Rabbana innaka jami'unnasi li-Yawmil la rayba ri innAllaha la yukhliful mi'aad

Our Lord! Thou art He that will gather mankind Together against a day about which there
is no doubt; for Allah never fails in His promise. [3:9]

হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবেঃ এতে কোনই সন্দেহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ওয়াদার অন্যথা করেন না। (৩: ৯)


#১০
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

Rabbana innana amanna faghfir lana dhunuubana wa qinna 'adhaban-Naar

Our Lord! We have indeed believed: forgive us, then, our sins, and save us from the agony
of the Fire [3:16]

হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর। (৩: ১৬)


#১১
رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنزَلَتْ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ

Rabbana amanna bima anzalta wattaba 'nar-Rusula fak-tubna ma'ash-
Shahideen

Our Lord! We believe in what Thou hast revealed, and we follow the Messenger. Then write
us down among those who bear witness [3:53]

হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা সে বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি যা তুমি নাযিল করেছ, আমরা রসূলের অনুগত হয়েছি। অতএব, আমাদিগকে মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে নাও। (৩: ৫৩)


#১২
ربَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

Rabbana-ghfir lana dhunuubana wa israfana fi amrina wa thabbit aqdamana wansurna 'alal qawmil kafireen

Our Lord! Forgive us our sins and anything We may have done that transgressed our duty: Establish our feet firmly, and help us against those that resist Faith [3:147]

হে আমাদের পালনকর্তা! মোচন করে দাও আমাদের পাপ এবং যা কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে আমাদের কাজে। আর আমাদিগকে দৃঢ় রাখ এবং কাফেরদের উপর আমাদিগকে সাহায্য কর। (৩: ১৪৭)


#১৩
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

Rabbana ma khalaqta hadha batila Subhanaka faqina 'adhaban-Naar

Our Lord! Not for naught Hast Thou created (all) this! Glory to Thee! Give us salvation from the penalty of the Fire [3:191]

হে পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও। (৩: ১৯১)


#১৪
رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ

Rabbana innaka man tudkhilin nara faqad akhzaytah wa ma liDh-dhalimeena min ansar

Our Lord! Any whom Thou dost admit to the Fire, Truly Thou coverest with shame, and never will wrong-doers Find any helpers! [3:192]

হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় তুমি যাকে দোযখে নিক্ষেপ করলে তাকে সবসময়ে অপমানিত করলে; আর জালেমদের জন্যে তো সাহায্যকারী নেই। (৩: ১৯২)


#১৫
رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا

Rabbana innana sami'na munadiyany-yunadi lil-imani an aminu bi Rabbikum fa'aamanna

Our Lord! We have heard the call of one calling (Us) to Faith, 'Believe ye in the Lord,' and we have believed. [3:193]

হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিশ্চিতরূপে শুনেছি একজন আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে যে, তোমাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আন; তাই আমরা ঈমান এনেছি। (৩: ১৯৩)


#১৬
رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَارِ

Rabbana faghfir lana dhunoobana wa kaffir 'ana sayyi'aatina wa tawaffana ma'al Abrar

Our Lord! Forgive us our sins, blot out from us our iniquities, and take to Thyself our souls in the company of the righteous [3:193]

হে আমাদের পালনকর্তা! অতঃপর আমাদের সকল গোনাহ মাফ কর এবং আমাদের সকল দোষত্রুটি দুর করে দাও, আর আমাদের মৃত্যু দাও নেক লোকদের সাথে। (৩: ১৯৩)


#১৭
رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدتَّنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلاَ تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لاَ تُخْلِفُ الْمِيعَادَ

Rabbana wa 'atina ma wa'adtana 'ala rusulika wa la tukhzina yawmal-Qiyamah innaka la tukhliful mi'aad

Our Lord! Grant us what Thou didst promise unto us through Thine apostles, and save us from shame on the Day of Judgment: For Thou never breakest Thy promise [3:194]

হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে দাও, যা তুমি ওয়াদা করেছ তোমার রসূলগণের মাধ্যমে এবং কিয়ামতের দিন আমাদিগকে তুমি অপমানিত করো না। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা খেলাফ করো না। (৩: ১৯৪)


#১৮
رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ

Rabbana aamana faktubna ma' ash-shahideen.

Our Lord! We believe; write us down among the witnesses. [5:83]

হে আমাদের প্রতি পালক, আমরা মুসলমান হয়ে গেলাম। অতএব, আমাদেরকেও মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে নিন। (৫: ৮৩)


#১৯
رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاء تَكُونُ لَنَا عِيداً لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ

Rabbana anzil 'alayna ma'idatam minas-Samai tuknu lana 'idal li-awwa-lina wa aakhirna wa ayatam-minka war-zuqna wa anta Khayrul-Raziqeen.

our Lord! Send us from heaven a table set (with viands), that there may be for us - for the first and the last of us - a solemn festival and a sign from thee; and provide for our sustenance, for thou art the best Sustainer (of our needs) [5:114]

হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের প্রতি আকাশ থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা অবতরণ করুন। তা আমাদের জন্যে অর্থাৎ, আমাদের প্রথম ও পরবর্তী সবার জন্যে আনন্দোৎসব হবে এবং আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন হবে। আপনি আমাদের রুযী দিন। আপনিই শ্রেষ্ট রুযীদাতা। (৫: ১১৪)


#২০
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ

Rabbana zalamna anfusina wa il lam taghfir lana wa tarhamna lana kuna minal-khasireen.

Our Lord! We have wronged our own souls: If thou forgive us not and bestow not upon us thy Mercy, we shall certainly be lost. [7:23]

হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব। (৭: ২৩)


#২১
رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

Rabbana la taj'alna ma'al qawwmi-dhalimeen.

Our Lord! Send us not to the company of the wrong-doers [7:47]

হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে এ জালেমদের সাথী করো না। (৭: ৪৭)


#২২
رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ

Rabbana iftah bayana wabayna qawmina bil haqqi wa anta Khayrul alFatiheen.

Our Lord! Decide Thou between us and our people in truth, for Thou art the best to decide. [7:89]

হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ফয়সালা করে ছিল যথার্থ ফয়সালা। আপনিই শ্রেষ্টতম ফসলা ফয়সালাকারী। (৭: ৮৯)


#২৩
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ

Rabbana afrigh 'alayna sabraw wa tawaffana Muslimeen.

Our Lord! Pour out on us patience and constancy, and take our souls unto thee as Muslims (who bow to thy will)! [7:126]

হে আমাদের পরওয়ারদেগার আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দাও এবং আমাদেরকে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু দান কর। (৭: ১২৬)


#২৪
رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

Rabbana la taj'alna firnatal lil-qawmidh-Dhalimeen wa najjina bi-Rahmatika minal qawmil kafireen.

Our Lord! Make us not a trial for those who practise oppression; And deliver us by Thy Mercy from those who reject (Thee) [10:85-86]

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের উপর এ জালেম কওমের শক্তি পরীক্ষা করিও না। আর আমাদেরকে অনুগ্রহ করে ছাড়িয়ে দাও এই কাফেরদের কবল থেকে। (১০: ৮৫-৮৬)


#২৫
رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللّهِ مِن شَيْءٍ فَي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاء

Rabbana innaka ta'iamu ma nukhfi wa ma nu'lin wa ma yakhfa 'alal-lahi min shay'in fil-ardi wa la fis-Sama'

O our Lord! Truly Thou dost know what we conceal and what we reveal: for nothing whatever is hidden from Allah, whether on earth or in heaven [14:38]

হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি তো জানেন আমরা যা কিছু গোপনে করি এবং যা কিছু প্রকাশ্য করি। আল্লাহর কাছে পৃথিবীতে ও আকাশে কোন কিছুই গোপন নয়। (১৪: ৩৮)


#২৬
رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاء

Rabbana wa taqabbal Du'a.

O our Lord! And accept my Prayer. [14:40]

হে আমাদের পালনকর্তা, এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া। (১৪: ৪০)


#২৭
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ

Rabbana ghfir li wa li wallidayya wa lil Mu'mineena yawma yaqumul hisaab.

O our Lord! Cover (us) with Thy Forgiveness - me, my parents, and (all) Believers, on the Day that the Reckoning will be established! [14:41]

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে। (১৪: ৪১)


#২৮
رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا

Rabbana 'atina mil-ladunka Rahmataw wa hayya lana min amrina rashada.

Our Lord! Bestow on us Mercy from Thyself, and dispose of our affair for us in the right way! [18:10]

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে আপনার কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন। (১৮: ১০)


#২৯
رَبَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَن يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَن يَطْغَى

Rabbana innana nakhafu any-yafruta 'alayna aw any-yatgha.

Our Lord! We fear lest he hasten with insolence against us, or lest he transgress all bounds. [20: 45]

হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আশঙ্কা করি যে, সে আমাদের প্রতি জুলুম করবে কিংবা উত্তেজিত হয়ে উঠবে। (২০: ৪৫)


#৩০
رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

Rabbana amanna faghfir lana warhamna wa anta khayrur Rahimiin.

Our Lord! We believe; then do Thou forgive us, and have mercy upon us: For Thou art the Best of those who show mercy [23: 109]

হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (২৩: ১০৯)


#৩১
رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا

Rabbanas-rif 'anna 'adhaba jahannama inna 'adhabaha kana gharama,

Our Lord! Avert from us the Wrath of Hell, for its Wrath is indeed an affliction grievous; [25: 65]

হে আমার পালনকর্তা, আমাদের কাছথেকে জাহান্নামের শাস্তি হটিয়ে দাও। নিশ্চয় এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ;(২৫: ৬৫)


#৩২
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

Rabbana Hablana min azwaajina wadhurriy-yatina, qurrata 'ayioni wa-jalna lil-muttaqeena Imaama.

O my Lord! Grant unto us wives and offspring who will be the comfort of our eyes, and give us (the grace) to lead the righteous [25:74]

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর। (২৫: ৭৪)


#৩৩
رَبَّنَا لَغَفُورٌ شَكُورٌ

Rabbana la Ghafurun shakur.

Our Lord is indeed Oft-Forgiving Ready to appreciate (service) [35: 34]

নিশ্চয় আমাদের পালনকর্তা ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। (৩৫: ৩৪)


#৩৪
رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَّحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ

Rabbana wasi'ta kulla sha'ir Rahmatanw wa 'ilman faghfir lilladhina tabu wattaba'u sabilaka waqihim 'adhabal-Jahiim

Our Lord! Thy Reach is over all things, in Mercy and Knowledge. Forgive, then, those who turn in Repentance, and follow Thy Path; and preserve them from the Penalty of the Blazing Fire! [40:7]

হে আমাদের পালনকর্তা, আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত। অতএব, যারা তওবা করে এবং আপনার পথে চলে, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন। (৪০: ৭)


#৩৫
رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدتَّهُم وَمَن صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ وَقِهِمُ السَّيِّئَاتِ وَمَن تَقِ السَّيِّئَاتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهُ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

Rabbana wa adhkhilum Jannati 'adninil-lati wa'attahum wa man salaha min aba'ihim wa azajihim wa dhuriyyatihim innaka antal 'Azizul-Hakim, waqihimus sayyi'at wa man taqis-sayyi'ati yawma'idhin faqad rahimatahu wa dhalika huwal fawzul-'Adheem

Our Lord! that they enter the Gardens of Eternity, which Thou hast promised to them, and to the righteous among their fathers, their wives, and their posterity! For Thou art (He), the Exalted in Might, Full of Wisdom. And preserve them from (all) ills; and any whom Thou dost preserve from ills that Day,- on them wilt Thou have bestowed Mercy indeed: and that will be truly (for them) the highest Achievement. [40:8-9]

হে আমাদের পালনকর্তা, আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, পতি-পত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।এবং আপনি তাদেরকে অমঙ্গল থেকে রক্ষা করুন। আপনি যাকে সেদিন অমঙ্গল থেকে রক্ষা করবেন, তার প্রতি অনুগ্রহই করবেন। এটাই মহাসাফল্য। (৪০: ৮-৯)


#৩৬
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا

Rabbana-ghfir lana wa li 'ikhwani nalladhina sabaquna bil imani wa la taj'al fi qulubina ghillal-lilladhina amanu

Our Lord! Forgive us, and our brethren who came before us into the Faith, and leave not, in our hearts, rancour (or sense of injury) against those who have believed. [59:10]

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে এবং ঈমানে আগ্রহী আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা কর এবং ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না। (৫৯: ১০)


#৩৭
رَبَّنَا إِنَّكَ رَؤُوفٌ رَّحِيمٌ

Rabbana innaka Ra'ufur Rahim.

Our Lord! Thou art indeed Full of Kindness, Most Merciful. [59:10]

হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি দয়ালু, পরম করুণাময়। (৫৯: ১০)


#৩৮
رَّبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ

Rabbana 'alayka tawakkalna wa-ilayka anabna wa-ilaykal masir.

Our Lord! In Thee do we trust, and to Thee do we turn in repentance: to Thee is (our) Final Goal [60:4]

হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা তোমারই উপর ভরসা করেছি, তোমারই দিকে মুখ করেছি এবং তোমারই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন। (৬০: ৪)


#৩৯
رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

Rabbana la taj'alna fitnatal lilladhina kafaru waghfir lana Rabbana innaka antal 'Azizul-Hakim.

Our Lord! Make us not a (test and) trial for the Unbelievers, but forgive us, our Lord! for Thou art the Exalted in Might, the Wise. [60:5]

হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৬০: ৫)


#৪০
رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

Rabbana atmim lana nurana waighfir lana innaka 'ala kulli shay-in qadir.

Our Lord! Perfect our Light for us, and grant us Forgiveness: for Thou hast power over all things. [66:8]

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান। (৬৬: ৮)


মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

চেনা অচেনা চেনা - আল আসমাউল হুসনা | শুরুর কথা

চেনা অচেনা চেনা - আল আসমাউল হুসনা | শুরুর কথা

চেনা অচেনা চেনা - আল আসমাউল হুসনা | শুরুর কথা





চেনা অচেনা চেনা - আল আসমাউল হুসনা | শুরুর কথা


চেনা অচেনা চেনা - আল আসমাউল হুসনা | শুরুর কথা




চেনা অচেনা চেনা - আল আসমাউল হুসনা | শুরুর কথা




পরকালের পথে যাত্রা | মৃত্যু

পরকালের পথে যাত্রা | মৃত্যু

পরকালের পথে যাত্রা | মৃত্যু





মৃত্যু একজন মানুষের জীবনের মন্দ সমাপ্তির অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে, তার মধ্যে একটি হল গুনাহের কাজে অব্যাহত থাকা। একজন ব্যক্তি খুব ছোট কোন গুনাহ করতে পারে, কিন্তু আলিমগণ বলে থাকেন, ছোট গুনাহ অনবরত করতে থাকলে তা বড় গুনাহতে পরিণত হয়। অতএব যখন আপনি একটা ছোট গুনাহ বারে বারে করতে থাকবেন, এটাকে ধরা হবে গুরুতর গুনাহ হিসেবে। আল-যাহাবী তাঁর ‘আল-কাবাইর’ গ্রন্থে মানুষের জীবনের মন্দ সমাপ্তি সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এক ব্যক্তির নেশা ছিল দাবা খেলা, মৃত্যুর সময় যখন তাকে বলা হল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতে, সে, তা বলতে পারল না। আর মৃত্যুর ঠিক পূর্ব মুহূর্তে সে বলতে থাকল, ‘চেক দোস্ত! চেক দোস্ত!’ — সে ভাবছিল তার দাবার কথা, আর এভাবেই সে মারা গেল। তিনি আরেক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন যাকে মৃত্যুর সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতে বলা হলে সে বলতে থাকে, ‘আমাকে একটা বোতল দাও, একটা গ্লাস দাও, আমি মদ খাবো।’ যেহেতু সে ছিল মাদকাসক্ত, শেষ মুহূর্তে এসেও তার মাথায় মদের কথা ঘুরছিল। আর-রাবী বিন সাবুরা একটা ঘটনা বলেন, তিনি এক লোকের মৃত্যুর সময় উপস্থিত ছিলেন, সে ছিল অ্যাকাউন্টেন্ট, তাকে সবসময় হিসাব-নিকাশ আর গণনার কাজ করতে হতো। মৃত্যুর সময় সবাই তাকে কালেমা পড়তে বললো, কিন্তু, সে বলতে শুরু করল, ‘১০, ১১, ১২…’ এরপর মৃত্যু পর্যন্ত সে এভাবেই নম্বর গুনতে থাকল। ইবন আল কায়্যিম একটা কাহিনী বর্ণনা করেন যেখানে এক ব্যক্তিকে মারা যাওয়ার সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতে বলা হলে সে বলল, ‘আমি পারছি না’ অথচ তার জিহবায় কোনো প্রকার সমস্যা ছিল না। সে প্রাঞ্জলভাবে কথা বলতে পারত, কিন্তু সে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতে পারল না। আল্লাহ তা‘আলা তাকে এটা বলার তওফিক দিলেন না কেননা তার জীবনে এটা বলার মত কোনো রেকর্ড ছিল না। আমরা সবসময় ভাবছি এই করবো, সেই করবো, সারাজীবন গুনাহ করে যাবো আর মৃত্যুর ঠিক ৫ মিনিট আগে আমি বলব ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আর পার পেয়ে যাবো – না, এটা এতো সহজ না। আপনি যেসব কাজ করে অভ্যস্ত সেসব কাজ করতেই করতেই আপনার মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কখনোই ভাববেন না আপনি আল্লাহ কে বোকা বানাবেন। আপনার মনে আল্লাহর ভয় থাকা উচিত। যে ব্যক্তি আল্লাহর আযাব থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। সিরিজটি শুনতে ক্লিক করুন - http://bit.ly/2fur4G8


পরকালের পথে যাত্রা | মৃত্যু



মৃত্যু আমরা, মানব জাতি দুনিয়াতে এমন একটা ধারণা নিয়ে বেঁচে থাকি যে, এই দুনিয়াটা আমাদের। এটাই আমাদের থাকার স্থান, ঘরবাড়ি, এখানে আছি, থাকব, যেন এটা আমাদের চির আবাসস্থল। কিন্তু যে বাস্তবতা আমরা জানি না, বা জানতে চাই না, যে, আমরা এক ট্রেনে ভ্রমণ করছি, যে ট্রেনটা একটা একটা করে স্টেশন পার হয়ে সর্বশেষ একটি গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে। আর এই দুনিয়ার জীবন হচ্ছে এমনই একটা স্টেশনের শুরু মাত্র। কিন্তু আমরা এই দুনিয়ার নই, বা দুনিয়াটাও আমাদের নয়। আমাদের হাতে যেন একটি টিকেট আছে, যেটার তিনটি অংশ আছে। আমরা মায়ের গর্ভে নয় মাস অবস্থান করি, তারপর সে টিকেটের একটা অংশ ছিড়ে ফেলা হয়। এরপর আমরা এই দুনিয়ার জীবনে প্রবেশ করি, আমাদের নতুন স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু হয়, আর এরপর যখন আমরা মারা যাই, তখন টিকেটের দ্বিতীয় অংশটুকু ছিড়ে ফেলা হয়। আমাদের হাতে থেকে যায় টিকেটের শেষ অংশটুকু, জান্নাত বা জাহান্নামের প্রবেশ করার সাথে শেষ অংশটুকুও ছিড়ে ফেলা হবে, আর সেটাই হবে আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্যস্থল। আমরা, এই দুনিয়ার চিরস্থায়ী বাসিন্দা না, এই দুনিয়া কেবলই আমাদের দীর্ঘ সফরের একটা ক্ষুদ্র অংশ মাত্র, তাই রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এই দুনিয়াতে এমনভাবে বেঁচে থাক যেন তুমি একজন মুসাফির।’ তিনি দুনিয়ার জীবনের বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন এই বলে, ‘ধরো, একটা মানুষ মরুভূমির পথ ধরে যাচ্ছে, এবং সে দেখল একটা গাছ, সেটা দেখে তার ছায়ার নিচে বসল, বিশ্রাম নিল এবং আবার তার অসম্পূর্ণ সফর সম্পন্ন করতে পুনরায় চলতে শুরু করল — এটাই হল দুনিয়া।’ আমরা গাছটার নিচে অল্প কয়টা মূহূর্ত ব্যয় করছি এবং এরপর আবার আগের যাত্রা। সময়ের এই পথ চলা, আমাদের জীবনের, আমাদের অস্তিত্বের ক্ষয় ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রতিটি সেকেন্ডের সাথে সাথে আমাদের অস্তিত্ব ক্রমেই নিঃশেষ হচ্ছে। এই বাস্তবতা আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে, যে, আমরা এখানকার কেউ নেই, আর তাই আমাদের প্রস্তুত হতে হবে মৃত্যুর জন্য। সিরিজটি শুনতে ক্লিক করুন - http://bit.ly/2fur4G8







রুহের যাত্রা ‘মৃত্যু তোমায় স্বাগতম! আমি তোমার জন্য কতোদিন ধরে অপেক্ষা করে আছি, আমাকে দেওয়া আল্লাহর ওয়াদার জন্য অপেক্ষা করে আছি। মৃত্যু তোমায় স্বাগতম! হে মৃত্যু, মনে কোরো না, আমি এই দুনিয়াতে ভালোবাসার টানে থাকতে চেয়েছি, না, আমি এখানে থাকতে চেয়েছি যেন দীর্ঘ গরমের দিনগুলোতে রোজা রাখতে পারি, যেন শীতের দীর্ঘ রাত্রিগুলো সালাত পড়ে কাটাতে পারি। এখন আমার যাওয়ার সময় এসেছে, আমি তোমাকে স্বাগত জানাই। নাও আমার আত্মাকে।’ — মুয়ায বিন জাবাল, জীবনের অন্তিম মুহুর্তে।




কিয়ামতের ছোট লক্ষণ ০৮-১৮ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, শান্তির প্রসার ঘটবে, আবার এও আছে যে ফিতনার প্রসার ঘটবে। এবং এ দু’টো একই হাদীসে বলা আছে, অতঃএব এগুলো অবশ্যই ভিন্ন সময়ে ঘটবে। যখনই ইসলাম থাকবে, তখন শান্তি বজায় থাকবে। আর যখন মানুষের উপরে ধর্মের প্রভাব কমে যাবে, দীন মানার প্রবণতা কমে যাবে, তখন দুর্নীতি ও ফিতনা বৃদ্ধি পাবে, হত্যা বৃদ্ধি পাবে। রাসূলুল্লাহ সা. এর কিছু হাদীসে এই শান্তি প্রসার সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। যেমন তাদের একটি হলো, রাসূলুল্লাহ সা. কাবায় হেলান দিয়ে বসেছিলেন। খাব্বাব রা. রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে আসলেন এবং মক্কায়, ইসলামের প্রাথমিক বছর গুলোতে সাহাবারা যে কঠিন সময়ের মোকাবেলা করছেন সে ব্যাপারে অভিযোগ করলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে ফরিয়াদ জানালেন, ‘আপনি কি আমাদের জন্য দোয়া করবেন না ?’ রাসূলুল্লাহ সা. সোজা হয়ে বসলেন এবং তার চেহারাতে স্পষ্টত রাগ দেখা যাচ্ছিলো। রাসূলুল্লাহ সা. এর তখন বললেন, ‘তোমাদের পূর্ববর্তীদের মাঝে কিছু লোককে ধরে আনা হতো, জমিতে গর্ত খোঁড়া হতো, সেখানে ঢুকাবার পর একটি করাত আনা হতো, তাদেরকে সেই করাত দিয়ে দু’টুকরা করা হতো, তবু তারা তাদের দ্বীন ছাড়তো না। তারপর তারা আরেকজন মুসলিম কে ধরে নিয়ে আসত এবং লোহার চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে থাকত, যতক্ষণ না তাদের হাড় থেকে মাংস আলাদা হয়ে যেত। কিন্তু তারপরেও সে তার দ্বীন ছাড়তো না। কিন্তু তোমরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছো।’ যদিও খাব্বাব ও অন্যান্য সাহাবারা রা. বিভিন্ন প্রকার অত্যাচারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তার পরেও রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন ‘তোমাদের ধৈর্য ধরতে হবে, ব্যতিব্যস্ত হয়ো না, আল্লাহ প্রদত্ত বিজয় আসবেই।


আস-সিদ্দীক্ব | আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর জীবনী 1

আস-সিদ্দীক্ব | আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর জীবনী 1

আস-সিদ্দীক্ব | আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর জীবনী

আস-সিদ্দীক্ব | আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর জীবনী 1



আস-সিদ্দীক্ব | আবু বকর (রা) এর চারিত্রিক শ্রেষ্ঠত্ব




১। - ঘরে কী রেখে এসেছ? - আল্লাহ ও তার রাসূলকে রেখে এসেছি। ২। “যারা মুহাম্মাদের পূজা করত, তারা জেনে রাখুক মুহাম্মাদ মৃত্যুবরণ করেছেন। আর যারা আল্লাহর ইবাদত করে, তারা জেনে নিক, আল্লাহ্‌ চিরঞ্জীব, তাঁর কোনো মৃত্যু নেই।” কিছু বাক্য এমন যা কিয়ামত পর্যন্ত মানুষকে নাড়া দেবে। আর কিছু মানুষ এমন যারা চরম মুহূর্তে এগিয়ে এসে আস্থার প্রতীক হয়ে ভাস্বর হয়ে আছেন ইতিহাসের পাতায় আর মুসলিমদের হৃদয়ে। নবীদের পর এই মানুষদের তালিকায় সবার উপরে যিনি থাকবেন তিনি এই উদ্ধৃতিটিসহ মুসলিম জাতির হাজারো অনুপ্রেরণার উৎস, আমাদের প্রথম খলীফা, আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু। তাঁর জীবনের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে সাধারণের মাঝে অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প, মানবের মাঝে অতিমানব হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা আর কোমলতার মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তার অসামান্য উদাহরণ। তিনি ছিলেন নবীজির (সা) আস্থাভাজন, হিজরতের সফরসঙ্গী হওয়ার বিরল সুযোগের অধিকারী একমাত্র সাহাবী। যারা ইসলামকে জীবনে ধারণ করতে চায়, ইসলামের জন্য জীবন দিতে চায়, তাদের করণীয় যারা এই পথ পাড়ি দিয়েছেন তাদেরকে জানা, হৃদয়ে ধারণ করা। এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় রেইনড্রপস নিয়ে আসছে, প্রিয় সাহাবি ও খলিফা আবু বকর (রা) এর জীবনীর অডিও সিরিজ, আস-সিদ্দীক্ব। ------------------------------ ------------------------------ আজকে প্রকাশিত হচ্ছে এই সিরিজের ১ম পর্ব। এই পর্বের প্রথম দিকে আলোচিত হয়েছে ভালো কাজে সাহাবীদের পারস্পরিক প্রতিযোগিতা ও আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর অগ্রগামীতা, বিভিন্ন ঘটনায় আবু বকর রা.-এর শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে। এরপর রয়েছে আবু বকর রা.-এর নাম ও উপাধি, জন্ম, দৈহিক গড়ন, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। সাহাবীদের জীবনযাত্রার ধরণ, তাদের বৈচিত্র্যময় ব্যক্তিত্ব, নবী-রাসূলদের পর পরবর্তী প্রজন্মের মানুষদের মধ্য থেকে কেন সাহাবীদের জীবনী আগে জানব, তাদের ব্যক্তিত্ব ও ঘটনা কিভাবে আমাদের আত্মপরিচয় গঠন করতে পারে, তাদের যুগ কিভাবে ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিয়েছে, সমকালীন প্রেক্ষাপটে সাহাবীদের যুগের গুরুত্ব ও প্রভাব ইত্যাদি নানা প্রসঙ্গ। উল্লেখ্য, যদিওবা পৃথক শিরোনামে চিহ্নিত করা নেই, তবুও আবু বকর রা.-এর জীবনী আলোচনায় প্রাসঙ্গিকভাবে অন্যান্য সাহাবীদের জীবনের উল্লেখযোগ্য অংশও উঠে আসবে ইনশাআল্লাহ। ডাউনলোড করুনঃ অডিওম্যাক - https://bit.ly/2I4WctFহিয়ারদিস - https://bit.ly/32EC7nNআর্কাইভ - https://bit.ly/38cGrvB এই সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলোর লিংক - https://bit.ly/2I8OKxSরেইনড্রপসের অন্যান্য সিরিজের লিংক - https://bit.ly/2TU0mbNরেইনড্রপসের লেকচারগুলো লো-কোয়ালিটি ভার্সনে পাবেন Ilmdrive এর ওয়েবসাইটে - https://bit.ly/2HczJgN আবু বকর আস সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহুর জীবনী। পর্ব ১ম - তাঁর চারিত্রিক শ্রেষ্ঠত্ব। Core Tag: Biography of Abu Bakr (ra) Seerah of Abu Bakr (ra)









আল-ফারুক | উমার ইবন আল-খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর জীবনী

আল-ফারুক | উমার ইবন আল-খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর জীবনী

আল-ফারুক | উমার ইবন আল-খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর জীবনী



অনেক শব্দ কিংবা অনেক মনের ভাব আছে যা এক ভাষায় সহজে প্রকাশ করা গেলেও অন্য ভাষায় যুতসই শব্দ খুঁজে পেতে কষ্ট হয়। ইংরেজিতে এমন একটা শব্দ হচ্ছে Watershed। একটা নিরামিষ বাংলা হতে পারে সন্ধিক্ষণ, কিংবা মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত। ইসলামি ইতিহাসের অনেক Watershed moment এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত যে মানুষটি, তিনি হলেন আল-ফারুক, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু। ইতিহাসে গোপন দাওয়াত থেকে প্রকাশ্য দাওয়াতের শুরু চিহ্নিত করে আছে আমিরুল মুমিনীন উমারের ইসলাম কবুল। যার মতামতের সাথে দুইদুইবার ওয়াহীর আদেশ মিলে গেছে তিনি উমার। জেরুজালেম বিজয় যার হাত ধরে তিনি উমার। আজ জেরুজালেম শত্রুর হাতের মুঠোয়। প্রকাশ্যে দাওয়াত তো দূরের কথা গোপন দাওয়াতের অভিযোগেও মুসলিমদের উপর জেল জুলুম হত্যা হয় নির্বিচারে। যে উমারকে শয়তানও ভয় পেত আজ দুর্বল থেকে দুর্বলতর প্রতিপক্ষ ছড়ি ঘুরায় মুসলিমদের উপর। এই জিল্লত, এই অধঃপতন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আমাদের মূলমন্ত্র হওয়া উচিত উমারের সেই বাণী। "আমরা ছিলাম নিকৃষ্ট এক জাতি। আল্লাহ ইসলামের মাধ্যমে আমাদের সম্মানিত করেছেন। আমরা যদি ফের জাহিলিয়্যাতে সম্মান খুঁজতে যাই তো আল্লাহ আমাদের অপদস্থ করবেন।" জাহিলিয়্যাত ভুলে আবার ইসলামে ফিরতে আমাদের জানতে হবে উমারের আদর্শ, উপলব্ধি করতে হবে উমারের পরিবর্তন, বলীয়ান হতে হবে উমারের বীরত্বে, মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে উমারের যুহদ, মনোবল আর আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ভালোবাসায়। উমারের জীবনের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আছে পথহারার জন্য ঘুরে দাঁড়াবার উদ্যম। আছে ভীরুর জন্য সাহসের সাথে ইসলামকে ধারণ করার বারুদ। আছে গাফেল আর অহংকারীর জন্য আল্লাহর দিকে বিনয়ের সাথে নুয়ে পড়ার দাওয়াই। রেইনড্রপস নিয়ে আসছে খলিফাতুল মুসলিমীন উমার ইবনুল খাত্তাবের জীবনীর অডিও সিরিজ আল-ফারুক্ব। শুনুন, শোনান, ধারণ করুন, যাপন করুন। উম্মতের আনাচে কানাচে বেরিয়ে আসুক হাজারো উমার। ------------------------------------ ------------------------------------ আজকে প্রকাশিত হচ্ছে আল ফারুক সিরিজের ১ম পর্ব। এ পর্বে আলোচনা করা হবে উমার ইবন আল-খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর ব্যক্তিত্ব ও বংশপরিচয় নিয়ে। ডাউনলোড লিংক- অডিওম্যাক - https://tinyurl.com/yxpremt3হিয়ারদিস - https://tinyurl.com/y4kdxehkআর্কাইভ - https://tinyurl.com/y6z74rwq