-->

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

অসাধারণ সুরেলা কণ্ঠে সূরা

অসাধারণ সুরেলা কণ্ঠে সূরা

অসাধারণ সুরেলা কণ্ঠে সূরা



ভাই যাইন আবু কাউতসার এর আবেগময় সূরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত। কান্না যেন থামছেই না। কিয়ামতের সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে এ সূরায়।

কানেক্টেড থাকুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোতে:


















Spirituality

Spirituality

Spirituality









Bangla Islamic reminder: যেই ভুল অগণিত মুসলিম পরিবারে হয়ে থাকে। নিয়মিত Islamic reminder পেতে সাবস্ক্রাইব করুন Baseera তে। সেই সাথে যোগ দিতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজেও।




Bangla Islamic reminder: যেই ভুল অগণিত মুসলিম পরিবারে হয়ে থাকে। নিয়মিত Islamic reminder পেতে সাবস্ক্রাইব করুন Baseera তে। সেই সাথে যোগ দিতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজেও।


রামাদানের চিঠি

রামাদানের চিঠি






রোযা আসতেই চারিদিকে একটা আলোড়ন পড়ে যায়। অফিস টাইম পালটে যায়। বদলায় স্কুল-কলেজের সময়সূচি, কখনোবা পুরো মাস ছুটি! পেপার, বিলবোর্ড আর শপিং মল জুড়ে ঈদ-ফ্যাশন, মোটা মোটা ঈদ সংখ্যার ম্যাগাজিন। জিনিসপত্রের দাম বাড়া নিয়ে গৎবাঁধা টেলিভিশন রিপোর্ট, মধ্যবিত্ত বাবার পকেট ক্যালকুলেটর টিপে বোনাস আর ঈদের খরচের চুলচেরা হিসাব। সদ্য কৈশোর পেরোনো তরুণ-তরুণীদের হাল ফ্যাশনের জামা কেনা নিয়ে উৎকণ্ঠা, যুগের সাথে তাল মেলাতে ফাস্টফুড চেইন শপে ইফতারে চেক-ইন। ঈদ এগিয়ে আসে, বাড়তে থাকে শপিং মলের ভীড়। ব্যবসায়ীরা ফাস্ট ফরোয়ার্ড করে ১০দিনেই তারাউইহ নামাযের ঝামেলা সেরে নেন। কেনাবেচা চলে সারারাত। সাতদিন ব্যাপী সাতাশ চ্যানেলজুড়ে ঈদ অনুষ্ঠানমালার ভীড়ে মুখ লুকিয়েই যেন বিদায় নেয় রমাদান। অথচ এই রমাদানকে ঘিরেই এত আয়োজন, এত ব্যস্ততা। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে, প্রিয় কারো চিঠি এলো নীল খামে করে। অথচ চিঠি পড়ে রইল অবহেলায়, আনকোরা ভাঁজে। খামের রঙ আর সুগন্ধীতেই মশগুল রয়ে গেল প্রাপক। প্রতি বছর এমনিভাবেই অমূল্য অনেক চিঠি নিয়ে আসে রমাদান। এর আগমনী পয়গাম ঘোষণা করেছেন রাব্বুল ইজ্জাত, তাঁর কালামুল্লাহ-তে, ‘শাহরু রামাদান, আল্লাযী উনযিলা ফিহিল কুরআন’- বরকতময় রমাদান, এতেই নাযিল হয়েছে কুরআন। রমাদান নিয়ে আসে কুরআনের চিঠি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথনির্দেশ সম্বলিত চিঠি, ক্ষুধার্তের ক্ষুধা আর অভাবীর অভাব অন্তর দিয়ে অনুভব করে কেঁদে ওঠার চিঠি। অন্ধকার অভ্যেসগুলোকে বিদায় জানিয়ে আলোর হাতছানির চিঠি। আমাদের রবের সাথে নিত্যদিন যোগাযোগ করার ঠিকানা আর উপায়ের চিঠি। কুরআনের অন্তরঙ্গতার চিঠি, তাহাজ্জুদের গোপন চিঠি। ইফতার আর সুহুরের আমন্ত্রণ, তারাউইহ আর ইতিকাফের নিমন্ত্রণের চিঠি। রমাদানের এই চিঠিগুলোকে পড়ে শোনাতে, খাম খুলে পড়ে দেখার প্রেরণা যোগাতে আমরা নিয়ে আসছি, রমাদানের চিঠি। ছোট ছোট চিরকুট ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমাদেরকে রমাদানের চিঠিগুলো পড়ে শোনাবেন মাওলানা আবু তাসমিয়া আহমেদ রফিক (হাফিযাহুল্লাহ)। আসছে রমাদানে, আপনি প্রস্তুত তো আপনার চিঠি বুঝে পেতে? আমাদের সাথে থাকুন ফেসবুকে: facebook.com/raindropsmedia আমাদের ওয়েবসাইট: www.raindropsmedia.org



রামাদানের চিঠি - পর্ব ০২ - প্রথম পদক্ষেপ



কুরআনে আল্লাহ তা’আলা সূরা ফাতিরের একটি আয়াতে তিন ধরণের লোকের কথা উল্লেখ করেছেন। এক ধরণের লোক হচ্ছে তারা যাদের সাথে দ্বীনের কোনো সম্পর্ক নেই বললেই চলে, আরেক ধরণের লোক হল তারা, যারা ঈমান এনেছে ঠিকই কিন্তু তারা এই পথে তেমন ত্যাগ-তিতিক্ষা করতে রাজি নয়। তৃতীয় আরেকদল লোক হচ্ছে তারা, যারা ঈমান এনেছে ও সেই পথে অগ্রগামী হয়েছে, দ্বীনের পথে নিজেদের সর্বস্ব ঢেলে দিয়েছে -- একটা দুনিয়াবি মানুষ যেভাবে করে ভালো “ক্যারিয়ার” এর পেছনে ছোটে, তৃতীয় শ্রেণির এই ঈমানদাররা তেমন করে ইসলামের পেছনে ছোটে, দ্বীন ইসলামই তাদের ক্যারিয়ার! রামাদানের চিঠির ৩য় পর্বে হাফেয আবু তাসমিয়া আলোচনা করেছেন কীভাবে আমরা এই অগ্রবর্তী দলে নিজেরা স্থান করে নিতে পারি, সে জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে তিনি কিছু কথা বলছেন আর তা হল জ্ঞান অর্জন। কেউ যদি জান্নাতে বড় কিছু চায়, তাহলে অবশ্যই তাকে “একটু বেশি”ই জানতে হবে! Audio Download Link: https://archive.org/download/Ramadane... আমাদের সাথে থাকুন ফেসবুকে: facebook.com/raindropsmedia আমাদের ওয়েবসাইট: www.raindropsmedia.org



হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বলেছেন, সাওম একমাত্র আমার জন্য এবং আমি স্বয়ং এর প্রতিদান দিব। এই হাদিসটিতে আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা সাওমকে নিজের জন্য বলেছেন। সাওমের ক্ষেত্রে কেন বিশেষভাবে এটা আল্লাহর জন্যই বলা হয়েছে? স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলায় এর প্রতিদান দিবেন। এই প্রতিদানের স্বরুপটা কী হতে পারে? রামাদানের চিঠির এই পর্বে হাফেয আবূ তাসমিয়া এই হাদিসটির উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন।






আল্লাহকে কেমন করে ভালোবাসা যায়? -- রামাদানের চিঠির ৫ম পর্বে হাফিয আবু তাসমিয়া সে বিষয়েই আলোচনা করেছেন। রেইন্ড্রপ্স অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজঃ https://www.facebook.com/raindropsmedia/ টাইটেল -------------- রামাদানের চিঠি - পর্ব ০৫ - কীভাবে আল্লাহকে ভালোবাসবো (১) রামাদানের চিঠি - পর্ব ০৫ - কীভাবে আল্লাহকে ভালোবাসবো (১) রামাদানের চিঠি - পর্ব ০৫ - কীভাবে আল্লাহকে ভালোবাসবো (১) কি-ওয়ার্ডসঃ রামাদানের চিঠি,আবু তাসমিয়া,ভালোবাসার চিঠি,raindrops media 2015,সায়েখ আবু তাসমিয়া,bangla kobita abritti,the guidance,abdur razzak bin yousuf,bangla waz,baseera media,ummah network,bangla islamic lecture,ekjon nekkar strir golpo - dr manzur e elahi,sheikh tamim adnani,আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ,মুফতি কাজী ইব্রাহীম 2018,ইসলামিক ভিডিও,ইসলামিক কাহিনী,শাইখ তামিম আল আদনানী,voice of islam,bangla seerah,বাংলা তাওহীদ সিরিজ,দেলোয়ার হোসেন সাঈদী


ধূলিমলিন উপহার: রামাদান | নফসকে শেকলবদ্ধ করুন

ধূলিমলিন উপহার: রামাদান | নফসকে শেকলবদ্ধ করুন

ধূলিমলিন উপহার: রামাদান | নফসকে শেকলবদ্ধ করুন






আমরা সবাই চাই আল্লাহর তা’আলার সাথে আমাদের সম্পর্ক যেন একদম মজবুত হয়, কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও আমরা অনেকেই সেটা পারি না। দ্বীনের উপর চলতে গিয়ে বারবার আমাদের পা ফসকে যায়, ঈমানে চলে আসে দুর্বলতা। আর আমাদের নফস তো গুনাহের দিকেই ঝুঁকে থাকে। তাহলে এই সব কিছু থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক মজবুত করার উপায় কী? এই উপায় আল্লাহই আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। এবং এই উপায়কে কাজে লাগানোর জন্য তিনি আমাদের যে সকল নিয়ামত দিয়েছেন তার মধ্যে রামাদান একটি। রামাদান ই উপযুক্ত সময়, যাবতীয় পাপ, ইবাদতে দুর্বলতা আর অলসতা ঝেড়ে ফেলে আল্লাহর দিকে ছুটে আসার। রামাদানে শয়তান তো শেকল বদ্ধ থাকে, তারপরও কেন আমরা রামাদানেও পাপে জড়িয়ে পড়ি? রামাদানে অনেক অনেক ইবাদত করে আল্লাহকে খুশি করার দৃঢ় নিয়্যত থাকলেও কেনো আমরা নিজেদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি না? এই সব কিছুর ই সমাধান আছে, উপায়ও আছে যার মাধ্যমে রামাদানকে কাজে লাগিয়ে এমন জান্নাত অর্জন করা যায়,যার ছাদ হবে আল্লাহর আরশ। আমরা ধাপে ধাপে আপনাদের কাছে সেই চমৎকার উপায় গুলো তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ। আজ “ধূলিমলিন উপহার: রামাদান” অডিও সিরিজের প্রথম পর্বে আমরা জেনে নিব রামাদানে আমাদের নফস কে শেকল বদ্ধ করার উপায়। -------------------------------------------------------------------------------- ধূলিমলিন উপহার: পর্ব ১: নফস কে শেকল বদ্ধ করুন || Rain Drops Media. ধূলিমলিন উপহার: পর্ব ১: নফস কে শেকল বদ্ধ করুন || Rain Drops Media. ধূলিমলিন উপহার: পর্ব ১: নফস কে শেকল বদ্ধ করুন || Rain Drops Media. -------------------------------------------------------------------------------- কি-ওয়ার্ডসঃ ধূলিমলিন উপহার: পর্ব ১: নফস কে শেকল বদ্ধ করুন || Rain Drops Media,রমাদান ইয়া রমজান,রোজার দোয়া,rain drops media,the guidance,islamic video,ramadan kareem,ramadan recipes,bangla islamic lecture,48. bangla seerah defeat of the confederate army by rain drops media,বাংলা সীরাহ,মিরাজের ঘটনা মিরাজের অজানা কাহিনী অলৌকিক মিরাজ শবে মেরাজ,bangla seerah,nobider jiboni,shaikh tamim al adnani,ummah network,islamic golpo,voice of islam





 


মূসা আ আল্লাহ তা’আলাকে দেখতে চাইলেন। আল্লাহ তা’আলা একটি নির্দিষ্ট দিন আর সময় নির্ধারণ করে দিলেন মূসা আ এর সাথে কথা বলার জন্য। সেই বিশেষ দিন আর সময় যত নিকটবর্তী হচ্ছিল, মূসা আ তত বেশি সেই স্থানে পৌঁছানোর জন্য তাড়াহুড়া করছিলেন। আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি কেন তিনি ব্যস্ত ছিলেন আল্লাহর সাথে দেখা করার জন্য? আচ্ছা, মূসা আ তো রাসূল ছিলেন। আমরা সাধারণ মুসলিম। আমরা কি কখনো আল্লাহকে দেখার কথা ভেবেছি? বা আমাদের রবের সাথে কথা বলতে ব্যাকুলতা অনুভব করেছি? সালাফরা বলতেন, তুমি যদি আল্লাহর সাথে কথা বলতে চাও তবে সালাতে দাঁড়িয়ে যাও, আর যদি চাও আল্লাহ তোমার সাথে কথা বলবেন, তবে কুরআন পড়তে শুরু কর। দিনে পাঁচবার আমাদেরকে আহ্বান করা হয়, আল্লাহর সাথে কথা বলার জন্য, তাঁর সাথে সাক্ষাত করার জন্য। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত তো আল্লাহর সাথে বান্দার সাক্ষাতের মতো। কিন্তু আযান শুনে কি আমরা আসলেই আল্লাহর সাথে কথা বলার জন্য, তাঁর সামনে দাঁড়ানোর নয় ব্যাকুলতা অনুভব করি? যেভাবে মূসা আ আল্লাহর সাথে কথা বলার জন্য ব্যাকুল ছিলেন। না, আমরা আসলেই আল্লাহর সাথে কথা বলার জন্য ব্যাকুল না, কারণ আল্লাহর প্রতি আমাদের ভালোবাসার মধ্যে মরিচা পড়েছে, কুরআন পড়ে আমাদের কোনো বোধোদয় হয় না, আমাদের অন্তরগুলোতে তালা পড়ে গেছে। কীভাবে আমাদের অন্তরগুলো মুক্ত হবে? যাতে আমরা সালাতে দাঁড়িয়ে আনন্দ অনুভব করতে পারি, প্রশান্তি অনুভব করতে পারি এই ভেবে যে, আমি আমার রবের সাথে কথা বলছি, আমার সবচেয়ে আপনজনের সাথে সাক্ষাত করছি? এই সব কিছু নিয়েই আমাদের আজকের পর্ব। “ধূলিমলিন উপহার: রামাদান” অডিও সিরিজের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা করা হয়েছে, আল্লাহর প্রতি আমাদের আকাঙ্ক্ষা আর ভালোবাসা পুনরুজ্জীবিত করার উপায় নিয়ে। বিস্তারিত:http://bit.ly/2rDzthW ------------------------------------------------------------------ ধূলিমলিন উপহার: পর্ব ২: আল্লাহর প্রতি আমাদের আকাঙ্ক্ষা || Rain Drops Media. ধূলিমলিন উপহার: পর্ব ২: আল্লাহর প্রতি আমাদের আকাঙ্ক্ষা || Rain Drops Media. ধূলিমলিন উপহার: পর্ব ২: আল্লাহর প্রতি আমাদের আকাঙ্ক্ষা || Rain Drops Media. ------------------------------------------------------------------ কি-ওয়ার্ডসঃ ধূলিমলিন উপহার: পর্ব ২: আল্লাহর প্রতি আমাদের আকাঙ্ক্ষা || Rain Drops Media, রমাদান সিরিজ, অডিও লেকচার।


  \






চেনা অচেনা চেনা - আল আসমাউল হুসনা | শুরুর কথা

চেনা অচেনা চেনা - আল আসমাউল হুসনা | শুরুর কথা

চেনা অচেনা চেনা - আল আসমাউল হুসনা | শুরুর কথা





চেনা অচেনা চেনা - আল আসমাউল হুসনা | শুরুর কথা


চেনা অচেনা চেনা - আল আসমাউল হুসনা | শুরুর কথা




চেনা অচেনা চেনা - আল আসমাউল হুসনা | শুরুর কথা




পরকালের পথে যাত্রা | মৃত্যু

পরকালের পথে যাত্রা | মৃত্যু

পরকালের পথে যাত্রা | মৃত্যু





মৃত্যু একজন মানুষের জীবনের মন্দ সমাপ্তির অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে, তার মধ্যে একটি হল গুনাহের কাজে অব্যাহত থাকা। একজন ব্যক্তি খুব ছোট কোন গুনাহ করতে পারে, কিন্তু আলিমগণ বলে থাকেন, ছোট গুনাহ অনবরত করতে থাকলে তা বড় গুনাহতে পরিণত হয়। অতএব যখন আপনি একটা ছোট গুনাহ বারে বারে করতে থাকবেন, এটাকে ধরা হবে গুরুতর গুনাহ হিসেবে। আল-যাহাবী তাঁর ‘আল-কাবাইর’ গ্রন্থে মানুষের জীবনের মন্দ সমাপ্তি সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এক ব্যক্তির নেশা ছিল দাবা খেলা, মৃত্যুর সময় যখন তাকে বলা হল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতে, সে, তা বলতে পারল না। আর মৃত্যুর ঠিক পূর্ব মুহূর্তে সে বলতে থাকল, ‘চেক দোস্ত! চেক দোস্ত!’ — সে ভাবছিল তার দাবার কথা, আর এভাবেই সে মারা গেল। তিনি আরেক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন যাকে মৃত্যুর সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতে বলা হলে সে বলতে থাকে, ‘আমাকে একটা বোতল দাও, একটা গ্লাস দাও, আমি মদ খাবো।’ যেহেতু সে ছিল মাদকাসক্ত, শেষ মুহূর্তে এসেও তার মাথায় মদের কথা ঘুরছিল। আর-রাবী বিন সাবুরা একটা ঘটনা বলেন, তিনি এক লোকের মৃত্যুর সময় উপস্থিত ছিলেন, সে ছিল অ্যাকাউন্টেন্ট, তাকে সবসময় হিসাব-নিকাশ আর গণনার কাজ করতে হতো। মৃত্যুর সময় সবাই তাকে কালেমা পড়তে বললো, কিন্তু, সে বলতে শুরু করল, ‘১০, ১১, ১২…’ এরপর মৃত্যু পর্যন্ত সে এভাবেই নম্বর গুনতে থাকল। ইবন আল কায়্যিম একটা কাহিনী বর্ণনা করেন যেখানে এক ব্যক্তিকে মারা যাওয়ার সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতে বলা হলে সে বলল, ‘আমি পারছি না’ অথচ তার জিহবায় কোনো প্রকার সমস্যা ছিল না। সে প্রাঞ্জলভাবে কথা বলতে পারত, কিন্তু সে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতে পারল না। আল্লাহ তা‘আলা তাকে এটা বলার তওফিক দিলেন না কেননা তার জীবনে এটা বলার মত কোনো রেকর্ড ছিল না। আমরা সবসময় ভাবছি এই করবো, সেই করবো, সারাজীবন গুনাহ করে যাবো আর মৃত্যুর ঠিক ৫ মিনিট আগে আমি বলব ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আর পার পেয়ে যাবো – না, এটা এতো সহজ না। আপনি যেসব কাজ করে অভ্যস্ত সেসব কাজ করতেই করতেই আপনার মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কখনোই ভাববেন না আপনি আল্লাহ কে বোকা বানাবেন। আপনার মনে আল্লাহর ভয় থাকা উচিত। যে ব্যক্তি আল্লাহর আযাব থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। সিরিজটি শুনতে ক্লিক করুন - http://bit.ly/2fur4G8


পরকালের পথে যাত্রা | মৃত্যু



মৃত্যু আমরা, মানব জাতি দুনিয়াতে এমন একটা ধারণা নিয়ে বেঁচে থাকি যে, এই দুনিয়াটা আমাদের। এটাই আমাদের থাকার স্থান, ঘরবাড়ি, এখানে আছি, থাকব, যেন এটা আমাদের চির আবাসস্থল। কিন্তু যে বাস্তবতা আমরা জানি না, বা জানতে চাই না, যে, আমরা এক ট্রেনে ভ্রমণ করছি, যে ট্রেনটা একটা একটা করে স্টেশন পার হয়ে সর্বশেষ একটি গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে। আর এই দুনিয়ার জীবন হচ্ছে এমনই একটা স্টেশনের শুরু মাত্র। কিন্তু আমরা এই দুনিয়ার নই, বা দুনিয়াটাও আমাদের নয়। আমাদের হাতে যেন একটি টিকেট আছে, যেটার তিনটি অংশ আছে। আমরা মায়ের গর্ভে নয় মাস অবস্থান করি, তারপর সে টিকেটের একটা অংশ ছিড়ে ফেলা হয়। এরপর আমরা এই দুনিয়ার জীবনে প্রবেশ করি, আমাদের নতুন স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু হয়, আর এরপর যখন আমরা মারা যাই, তখন টিকেটের দ্বিতীয় অংশটুকু ছিড়ে ফেলা হয়। আমাদের হাতে থেকে যায় টিকেটের শেষ অংশটুকু, জান্নাত বা জাহান্নামের প্রবেশ করার সাথে শেষ অংশটুকুও ছিড়ে ফেলা হবে, আর সেটাই হবে আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্যস্থল। আমরা, এই দুনিয়ার চিরস্থায়ী বাসিন্দা না, এই দুনিয়া কেবলই আমাদের দীর্ঘ সফরের একটা ক্ষুদ্র অংশ মাত্র, তাই রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এই দুনিয়াতে এমনভাবে বেঁচে থাক যেন তুমি একজন মুসাফির।’ তিনি দুনিয়ার জীবনের বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন এই বলে, ‘ধরো, একটা মানুষ মরুভূমির পথ ধরে যাচ্ছে, এবং সে দেখল একটা গাছ, সেটা দেখে তার ছায়ার নিচে বসল, বিশ্রাম নিল এবং আবার তার অসম্পূর্ণ সফর সম্পন্ন করতে পুনরায় চলতে শুরু করল — এটাই হল দুনিয়া।’ আমরা গাছটার নিচে অল্প কয়টা মূহূর্ত ব্যয় করছি এবং এরপর আবার আগের যাত্রা। সময়ের এই পথ চলা, আমাদের জীবনের, আমাদের অস্তিত্বের ক্ষয় ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রতিটি সেকেন্ডের সাথে সাথে আমাদের অস্তিত্ব ক্রমেই নিঃশেষ হচ্ছে। এই বাস্তবতা আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে, যে, আমরা এখানকার কেউ নেই, আর তাই আমাদের প্রস্তুত হতে হবে মৃত্যুর জন্য। সিরিজটি শুনতে ক্লিক করুন - http://bit.ly/2fur4G8







রুহের যাত্রা ‘মৃত্যু তোমায় স্বাগতম! আমি তোমার জন্য কতোদিন ধরে অপেক্ষা করে আছি, আমাকে দেওয়া আল্লাহর ওয়াদার জন্য অপেক্ষা করে আছি। মৃত্যু তোমায় স্বাগতম! হে মৃত্যু, মনে কোরো না, আমি এই দুনিয়াতে ভালোবাসার টানে থাকতে চেয়েছি, না, আমি এখানে থাকতে চেয়েছি যেন দীর্ঘ গরমের দিনগুলোতে রোজা রাখতে পারি, যেন শীতের দীর্ঘ রাত্রিগুলো সালাত পড়ে কাটাতে পারি। এখন আমার যাওয়ার সময় এসেছে, আমি তোমাকে স্বাগত জানাই। নাও আমার আত্মাকে।’ — মুয়ায বিন জাবাল, জীবনের অন্তিম মুহুর্তে।




কিয়ামতের ছোট লক্ষণ ০৮-১৮ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, শান্তির প্রসার ঘটবে, আবার এও আছে যে ফিতনার প্রসার ঘটবে। এবং এ দু’টো একই হাদীসে বলা আছে, অতঃএব এগুলো অবশ্যই ভিন্ন সময়ে ঘটবে। যখনই ইসলাম থাকবে, তখন শান্তি বজায় থাকবে। আর যখন মানুষের উপরে ধর্মের প্রভাব কমে যাবে, দীন মানার প্রবণতা কমে যাবে, তখন দুর্নীতি ও ফিতনা বৃদ্ধি পাবে, হত্যা বৃদ্ধি পাবে। রাসূলুল্লাহ সা. এর কিছু হাদীসে এই শান্তি প্রসার সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। যেমন তাদের একটি হলো, রাসূলুল্লাহ সা. কাবায় হেলান দিয়ে বসেছিলেন। খাব্বাব রা. রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে আসলেন এবং মক্কায়, ইসলামের প্রাথমিক বছর গুলোতে সাহাবারা যে কঠিন সময়ের মোকাবেলা করছেন সে ব্যাপারে অভিযোগ করলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে ফরিয়াদ জানালেন, ‘আপনি কি আমাদের জন্য দোয়া করবেন না ?’ রাসূলুল্লাহ সা. সোজা হয়ে বসলেন এবং তার চেহারাতে স্পষ্টত রাগ দেখা যাচ্ছিলো। রাসূলুল্লাহ সা. এর তখন বললেন, ‘তোমাদের পূর্ববর্তীদের মাঝে কিছু লোককে ধরে আনা হতো, জমিতে গর্ত খোঁড়া হতো, সেখানে ঢুকাবার পর একটি করাত আনা হতো, তাদেরকে সেই করাত দিয়ে দু’টুকরা করা হতো, তবু তারা তাদের দ্বীন ছাড়তো না। তারপর তারা আরেকজন মুসলিম কে ধরে নিয়ে আসত এবং লোহার চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে থাকত, যতক্ষণ না তাদের হাড় থেকে মাংস আলাদা হয়ে যেত। কিন্তু তারপরেও সে তার দ্বীন ছাড়তো না। কিন্তু তোমরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছো।’ যদিও খাব্বাব ও অন্যান্য সাহাবারা রা. বিভিন্ন প্রকার অত্যাচারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তার পরেও রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন ‘তোমাদের ধৈর্য ধরতে হবে, ব্যতিব্যস্ত হয়ো না, আল্লাহ প্রদত্ত বিজয় আসবেই।